The Ballpen
টাংগাইল জেলা - theballpen

টাংগাইল জেলা

7th Dec 2022 | টাঙ্গাইল জেলা |

আয়তন: ৩৪১৪.৩৫ বর্গ কি.মি.

চতুর্সীমাঃ পূর্বে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর, পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ, উত্তরে জামালপুর, দক্ষিণে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলা।

ভৌগলিক আয়তন অবস্থানঃ টাঙ্গাইল জেলা ২৩­০ ৫৯’৫০” উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪০ ৪৮’৫১” উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯­০ ৪৮’৫০” পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯০০ ৫১’২৫” পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত।

নির্বাচনী এলাকা: ৮টি।

  1. মধুপুর- ধনবাড়ি-০১
  2. গোপালপুর- ভূঞাপুর-০২
  3. ঘাটাইল-০৩
  4. কালিহাতী-০৪
  5. টাঙ্গাইল-০৫
  6. নাগরপুর দেলদুয়ার-০৬
  7. মির্জাপুর-০৭ ও
  8. সখিপুর-বাসাইল-০৮।

জনসংখ্যাঃ ৩৬,০৫,০৮৩ জন (পুরুষ: ১৭,৫৭,৩৭০ জন, মহিলা: ১৬,৬৯,৭৯৪ জন) জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ০.৯।

জনসংখ্যার ঘনত্তঃ ১০৫৬ জন (প্রতি বঃ কিঃ)।

মোট ভোটার সংখ্যা (পুরুষ ওমহিলা): ২৩৪০২৩৬ জন (পুরুষ: ১১২৮৬১৭ জন, মহিলা: ১২১১৭১৫ জন)।

উপজেলাঃ ১২ টি।

  1. টাঙ্গাইল,
  2. মধুপুর,
  3. গোপালপুর,
  4. ভূঞাপুর,
  5. ঘাটাইল,
  6. কালিহাতী,
  7. দেলদুয়ার,
  8. নাগরপুর,
  9. মির্জাপুর,
  10. সখিপুর,
  11. বাসাইল ও
  12. ধনবাড়ি (নবসৃষ্ট)।

থানাঃ ১৪টি।

পৌরসভার নামঃ ১০ টি।

  1. টাঙ্গাইল,
  2. মধুপুর,
  3. গোপালপুর,
  4. ভূঞাপুর,
  5. ঘাটাইল,
  6. কালিহাতী,
  7. মির্জাপুর,
  8. সখিপুর,
  9. বাসাইল,
  10. ধনবাড়ি ও
  11. এলেঙ্গা ।

ইউনিয়ন: ১১০ টি।

গ্রাম: ২৫১৬টি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ১০,০৬০ টি। বড়-১০ টি, মধ্যম-৮০ টি, কুটিরশিল্প-৯,৯৭০। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১টি, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ৩টি, আইন কলেজ ১টি, ক্যাডেট কলেজ ১টি, বেসরকারী মহিলা মেডিকেল কলেজ ১টি, সরকারী কলেজ ৪টি, বেসরকারী কলেজ ৪৮টি, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১টি, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ১টি, প্রাথমিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ১টি, স্যাটেলাইট স্কুল ৮৬টি, নার্সিং ইনস্টিটিউট ২টি, পুলিশ একাডেমী ১টি, মাদ্রাসা ১৭৪টি, সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪টি,,বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৪১টি, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪০টি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৩৭টি, বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৯৫টি, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ১টি, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪৫টি, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় ১৩০৪টি।

মৌজা: ২১৯০

নদী: যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, লৌহজং, খিরু, যুগনী,ফটিকজানি,এলংজানি, লাঙ্গুলিয়া, ঝিনাই।

বদ্ধ জলাশয় (২০ একরের উর্ধ্বে ):৭৪

হাট-বাজার: ২০৫টি

মোট জমি: ৮৯২৫৪৮ একর

মোট আবাদি জমি: ৫৫৩৭৯০ একর

ইউনিয়ন ভূমি অফিস: ১০১ টি

পাকা রাস্তা: ৬৪৬ কি.মি.

কাঁচা রাস্তা: ৫১৩০ কি.মি.

আবাসন/ আশ্রায়ন প্রকল্প: ১০টি।

আদর্শ গ্রাম: ১২টি।

খেয়াঘাট/ নৌকাঘাট: ১৫ টি।

দর্শনীয় স্থান:রসুলপুর মধুপুর জাতীয় উদ্যান, ভাসানীর মাজার,দোখলা রেষ্ট হাউজ ,আতিয়া মসজিদ,আদম কাশ্মিরী(রঃ)-র মাজার, আটিয়া জমিদার বাড়ী,ধনবাড়ী জমিদারবাড়ী,হেমনগর জমিদার বাড়ী, করটিয়ার জমিদার বাড়ি, বঙ্গবন্ধু সেতু ,যমুনা রিসোর্ট ,এলেঙ্গা রিসোর্ট ,ভারতেশ্বরী হোমস্,মহেড়া জমিদার বাড়ী,পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার,মির্জাপুর ক্যাডেট কলে্‌ নাগরপুর চৌধুরী বাড়ী, উপেন্দ সরোবর, যাদব বাবুর বাড়ীর সিংহদ্বার,পাকুটিয়া জমিদারদের অট্টালিকা ইত্যাদি।

আদিবাসী জনগোষ্ঠী :গারো

সংসদীয় আসন: ০৮ টি

শিক্ষার হার: ৪৬.৮%

স্বাস্থ্য: জেনারেল হাসপাতাল০১ টি, উপজালা সাস্থ্য কমপ্লেক্স ১১ টি।

ভৌগলিক প্রোফাইল

আয়তন

৩৪২৪.৩৮ বর্গ কি.মি.

চতুর্সীমা

পূর্বে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর, পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ, উত্তরে জামালপুর, দক্ষিণে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলা।

ভৌগলিক আয়তন ও অবস্থান

টাঙ্গাইল জেলা ২৩­০৫র্৯৫র্০র্ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪­০৪৮র্৫র্১র্ উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯­০৪৮র্৫র্০র্ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯০­০৫১র্২র্৫র্ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত।

টাঙ্গাইল জেলা সৃষ্টির ইতিহাস

বর্তমান টাঙ্গাইল জেলা অতীত যমুনা নদীর বুকে নতুন জেগে ওঠা চর এলাকার সমষ্টি। এখানে ছোট্ট ছোট্ট জনগোষ্ঠী বসবাস শুরু করে যার অধিকাংশই ছিল পাশ্ববর্তী উত্তরবঙ্গের অর্থাৎ যমুনার পশ্চিম পাড়ের অধিবাসী। অতীত কাল থেকেই বহু ভাঙ্গাগড়া ও রাজনৈতিক দখল-বেদখল, চড়াই উৎরাই পেরিয়ে যে এলাকা আজ টাঙ্গাইল জেলা বলে পরিচিত লাভ করেছে, টাঙ্গাইল হিসাবে তার গঠন ও স্বতন্ত্র পরিচয় ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাওয়া যায় না। অর্থাৎ এই ভূমিতে জন বসতি পুরাতন হলেও টাঙ্গাইল নামটি সাম্প্রতিক। বরং এই অঞ্চল আটিয়া পরগণার অংশ হিসেবে মোগল আমল থেকে পরিচিত।

১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে কাসিম বাংলার নবাব হওয়ার পর খাজনা আদায়ের জন্য যে ভূমি বন্দোবস্ত করেন তাতে আটিয়া, কাগমারী, বড়বাজু হোসেনশাহী ইত্যাদি পরগণার নাম পাওয়া যায়- টাঙ্গাইলের নাম পাওয়া যায় না। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত রেনেলের মানচিত্রে টাঙ্গাইলের উল্লেখ নেই। পলাশী যুদ্ধের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ক্ষমতা গ্রহণের পর এদেশে সর্বপ্রথম ভূমি জরিপ হয় ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে। সেখানেও টাঙ্গাইলের উল্লেখ নেই। ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে শাসনকার্যের সুবিধার জন্য জামালপুর মহকুমা সৃষ্টি হয়। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলাকে দু’টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়। ১। সদর বিভাগ, ২। জামালপুর বিভাগ। সদর বিভাগের অধীনে নাসিরাবাদ, গাবতলী, মধুপুর, নেত্রকোণা, ঘোষগাঁও, ফতেপুর, গফরগাঁও, মাদারগঞ্জ, নিকলি ও বাজিতপুর থানা সমূহ এবং জামালপুর বিভাগের অধীনে শেরপুর, হাজিগঞ্জ ও পিংনা থানা সমূহ রাখা হয়। আটিয়া পরগণার অঞ্চল সমূহ তখন ঢাকা জেলার অন্তর্ভৃক্ত ছিল। ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় ভূমি জরিপের সময়েও টাঙ্গাইলের উল্লেখ পাওয়া যায় না। রেনেলের মানচিত্রে আটিয়া পরগণার উল্লেখ ছিল। তখন বর্তমান টাঙ্গাইলের অধিকাংশ অঞ্চল আটিয়া পরগণার অধীনে ছিল। আঠার ও ঊনিশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত আটিয়া নামে পরিচিত অঞ্চলই বর্ধিত হয়ে বর্তমান টাঙ্গাইলের রূপলাভ করেছে। এ থেকে বুঝা যায় টাঙ্গাইলের সাবেকি নাম আটিয়া বললে খুব বেশী ভূল হবে না।

১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে সরকার পারদিঘুলিয়া মৌজায় টানআইল (পরে নাম রূপান্তর হয়ে টাঙ্গাইল হয়) থানার প্রত্তন করে।

করটিয়ার মুসলিম জমিদারও বরাবর ইংরেজ বিদ্বেষী ছিল বিধায় আটিয়া পরগণাতেও নতুন থানা বা চৌকির স্থান নির্দিষ্ট হয়নি। যদিও প্রশাসনিক দিক থেকে সেটাই ছিল সর্বোত্তম। যাই হোক নতুন থানাকেই মহকুমা ঘোষণা দিয়ে ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে মোমেনশাহীর সঙ্গে জুড়ে দেবার কারণটাও অনেকেই টাঙ্গাইলের স্বাতন্ত্র্যতাকে বিনষ্ট করার একটি সুক্ষ্ণ চক্রান্ত বলে মনে করেছেন। অনেকেই আবার এও মনে করেন যে, টাঙ্গাইলের শিক্ষা সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সক্রিয়তায় অংশীদারিত্ব দাবি করার একটা পরোক্ষ প্রচেষ্টা হিসেবে বিশেষ একটি গোষ্ঠি ইংরেজদের সহযোগিতায় এমনটি করিয়ে ছিলেন। মরহুম রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর তথ্য মতে তিনি কলিকাতায় ছাত্রাবস্থায় (১৯৩৬-১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ) কলিতার প্রচলিত প্রবাদ Mymensingh Distrcict minus Tangail is equeal to zero একথাই প্রমাণ করে। ঘটনা যাই ঘটে থাকুক, ময়মনসিংহ জেলায় অন্তর্ভূক্তির পর থেকেই টাঙ্গাইল বাসি নিজেদের স্বাতন্ত্র্যতা রক্ষার প্রয়োজনে টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহের আওতা থেকে মুক্ত করে পৃথক জেলার দাবী করে আসতে থাকেন।

১৯১২ খ্রিস্টাব্দে টাঙ্গাইলে সদর দপ্তর স্থাপন করে টাঙ্গাইল ও জামালপুর মহকুমা সমন্নয়ে পৃথক জেলা স্থাপনের খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছিল। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হলে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ই,ভি লেভিজ (Levige) এর সভাপতিত্বে গঠিত Bengal Administrative Committee এর রিপোর্ট পুনরায় ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহকে বিভক্ত করে ময়মনসিংহ, কিশোরঞ্জ ও গোপালপুর জেলা স্থাপনের প্রস্তাব পেশ করা হয়। শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন আন্দোলনের কারণে এই পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হতে পারেনি।

১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ লাটের কাউন্সিলার স্যার নওয়াব আলী চৌধুরীর নেতৃত্বে ও তৎকালীন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম গজনবীর মিলিত প্রচেষ্টায় টাঙ্গাইলকে পৃথক জেলা করার দাবী প্রত্থাপিত হয়। প্রশাসনিক কারণে ময়মনসিংহ জেলা ভাগ করার লক্ষে তৎকালীন ইংরেজ সরকার রাউল্যান্ড কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সুপারিশক্রমে ভারতে বড় লার্ট লড রোনাগোসে ময়মনসিংহ জেলাকে ভেঙ্গে জামালপুরের জেলা সদর ও ধনবাড়িতে মহকুমা স্থাপনের অনুমোদন দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি বহুবিধ কারণেই। টাঙ্গাইল মহকুমা সদরে নতুন টাঙ্গাইল জেলা স্থাপনের দাবী অব্যহত ভাবে চলতেই থাকে।

খন্দকার আবদুর রহিম টাঙ্গাইলের ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন; ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে টাঙ্গাইল যে মোমেনশাহী জেলার অন্তর্গত ছিল। সেই মোমেনশাহী পূর্বেছিলো কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত। গৌড়ের সন্তান হোসেনশাহ (১৪৯৩-১৫১৮ খ্রিস্টাব্দ) কামরূপ রাজ্য অধিকার করেন এবং বর্তমান মোমেনশাহী অঞ্চলটি কামরূপ থেকে আলাদা করে স্বীয়পূত্র নসরত শাহকে আধিপত্য দান করেন।

টাঙ্গাইল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করার জন্য বহু সংগ্রাম করতে হয়েছে। এই প্রচেষ্টা বৃটিশ আমল থেকে পাকিস্তান আমলের শেষ পর্যায় ছিলো। অবিভক্ত বঙ্গদেশে ময়মনসিংহ জেলা ছিল সবচেয়ে বড় জেলা। ময়মনসিংহে থেকে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল শাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা ছিলো কঠিন কাজ। তাই স্বভাবত কারণেই টাঙ্গাইল মহকুমাকে জেলা উন্নীত করার বার বার দাবী উঠছে। প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরও টাঙ্গাইল জেলায় উন্নীত হতে পারেনি। কারণ যখনই জেলা প্রতিষ্ঠান দাবী তোলা হয়েছে তখনই রাজনৈতিক কারণে তা বাস্তবায়িত হতে পারেনি।

একদা ময়মনসিংহ জেলাই টাঙ্গাইল অঞ্চলের গোপালপুর থানার সূবর্ণ খালীতে স্থানান্তর হতে চেয়েছিল। কারণ সূবর্ণখালী সেই সময়ে ময়মনসিংহ জেলার স্বাস্থ্যকর স্থান ছিল। সুর্বণখালী যে তখন স্বাস্থ্যকর স্থান ছিল তার বিবরণ কিছুটা পাওয়া যায় ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রকাশিত ময়মনসিংহ গেজেটিয়ারে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে বাঁচার জন্য ময়মনসিংহের তৎকালীন সিভিল সার্জন ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা সদর সুর্বণখালীতে স্থানান্তরের পরমর্শ রেখেছিলেন। সরকারের নিকট গেজেটিয়ারে উল্লেখ আছে - The towns of Maymenshingh are not sufficient impertinence to merit special attention in this chapter. In 1869 civil surgeon recommended the transfer of the head quarters of the district to Seaborne Khaki or Jamalpur.

১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে Sir Andrew Fraser ময়মনসিংহ জেলা বিভক্ত করে পৃথক জেলা প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আবার আলোচনায় নিয়ে আসেন। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গ ভঙ্গ হলেও বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলতে থাকে। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব বঙ্গ ও আসাম সরকার এক প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলা সদরের দুই প্রান্তে পৃথক দু’টি জেলা সদর স্থাপন করে ময়মনসিংহকে দ’ুটি পৃথক জেলায় রূপান্তর করার বিষয়ে জনমত জরিপের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। প্রস্তাবটি বিরোধিতার সম্মুখীন হলে টাঙ্গাইল জামালপুর মহকুমা নিয়ে পৃথক একটি জেলা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ পূর্বক জনমত জরিপের ব্যবস্থা করেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা শহরে একটি বড় জনসভাও অনুষ্ঠিত হয়ে

No post found!