The Ballpen
শেরপুর উপজেলার ভাষা ও সংষ্কৃতি - theballpen

শেরপুর উপজেলার ভাষা ও সংষ্কৃতি

8th Dec 2022 | বগুড়া জেলা |

শেরপুর উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগলিকঅবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ওসংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এই উপজেলাকে ঘিরে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরারাজ্য, ঢাকা বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের অন্যান্য উপজেলা সমূহ। এখানে ভাষারমূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্যখুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণধ্বনি অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে। শেরপুরে, করতোয়, বাংঙ্গালী, ভদ্রাবতী প্রভৃতি উপজেলার আঞ্চলিক ভাষার সাথে সন্নিহিত ঢাকা অঞ্চলের ভাষার, চৌদ্দগ্রাম ও লাকসাম উপজেলার আঞ্চলিক ভাষায় রাজশাহী এলাকার ভাষার অনেকটাইসাযুজ্য রয়েছে। করতোয়, বাংঙ্গালী, ভদ্রাবতী নদীর গতিপ্রকৃতি এবং লালমাই পাহাড়ের পাদদেশেশেরপুর মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতিতে ব্যাপকপ্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

এই এলাকার ইতিহাসপর্যালোচনায় দেখা যায় যে শেরপুর সভ্যতা বহুপ্রাচীন। এই এলাকায় প্রাপ্তপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ প্রাচীন সভ্যতার বাহকহিসেবে দেদীপ্যমান। এছাড়াও এ এলাকায় কিছুক্ষুদ্র জাতিসত্বা বসবাস করে যাদেরনিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে শেরপুরের অবদানওঅনস্বীকার্য। সুরসম্রাট ওস্তাদআলাউদ্দিন খান, ওস্তাদ আয়েত আলী খান, ওস্তাদআকবর আলী খান প্রমুখ ভুবনবিখ্যাত সংগীতজ্ঞ স্মৃতি বিজড়িত শেরপুর।শেরপুর ওস্তাদ আফতাবউদ্দিনখান সরোদের মত দেখতে সুর সংগ্রহ যন্ত্রউদ্ভাবন করেন। এছাড়াও তিনি মেঘডাবুর যন্ত্র নামে সুরযন্ত্রের স্রষ্টা।ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান চন্দ্র সারংএবং ওস্তাদ আয়েত আলি খান আধুনিক সরোদউদ্ভাবন করেন। শেরপুর বাঁশের বাঁশিসমগ্র উপমহাদেশে প্রসিদ্ধ।

ওস্তাদআলাউদ্দিন খান সৃষ্ট রাগ সঙ্গীত, হেমমত্ম দুর্গেশ্বরী, মেঘবাহার, প্রভাতকেলী, হেম বেহাগ, মদন মঞ্জরী রাগ এবং ওস্তাদ আয়েত আলী খানসৃষ্ট মিশ্ররাগ উপ মহাদেশের শাস্ত্রীয় গীতধারায় এখনও প্রবল প্রভাব রেখেচলেছে। ওস্তাদআলী আকবর খান ১০টি নুতন রাগ সৃষ্টি করেন। এগুলো হলো রাগচন্দ্রনন্দন, গুরুমঞ্জরী, লাজবন্তি, মিশ্র শিবরঞ্জনী, ভুপমন্দ, মেধাবী, আলমগীরি, মলয়ালমস্মৃতি, কুশিযোগি এবং রাগ চৌরাঙ্গ কল্যাণ।

যেসব সরকারী সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা শেরপুর কাজ করছে সেগুলো হলোঃ

    * উপজেলা পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, শেরপুর,বগুড়া
    * বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, শেরপুর উপজেলা শাখা
    * সরকারী গণ গ্রন্থাগার, জজকোর্ট রোড, বগুড়া
    * স্থানীয় সরকার ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুদানপ্রাপ্ত সংস্থা বীরচন্দ্রনগর মিলনায়তন (টাউনহল)
    * প্রভৃতি।





Related

বগুড়া জেলা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

বগুড়া জেলা ১৮২১  সালে জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।



Related

বগুড়া জেলার ভৌগোলিক সীমানা

৮৮.৫০ ডিগ্রী পূর্ব থেকে ৮৮.৯৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এবং ২৪.৩২ ডিগ্রী উত্তর থেকে ২৫.০৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে বগুড়া সদর উপজেলা অবস্থিত।

বগুড়ার উত্তরে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট, উত্তর পশ্চিমে জয়পুরহাটের অংশবিশেষ,পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমে নওগাঁ, দক্ষিণে নাটোর ও সিরাজগঞ্জের অংশবিশেষ এবং দক্ষিণ পূর্বে সিরাজগঞ্জের অবশিষ্ট অংশ বিদ্যমান। বগুড়ার পূর্বে জামালপুর থাকলেও এর স্থলভাগ সংযুক্তভাবে অবস্থিত নয়। 

বগুড়া ভৌগোলিকভাবে ভূমিকম্পের বিপজ্জনক বলয়ে অবস্থিত। তাছাড়া বগুড়া জেলা বরেন্দ্রভূমির অংশবিশেষ যা ধূসর ও লাল বর্ণের মাটির পরিচিতির জন্য উল্লেখ্য।



Related

বগুড়া জেলার জনসংখ্যা কত?

বগুড়া জেলার জনসংখ্যা মোট: ৩৭,৩৪,৩০০ জন
পুরুষ:৪৯.৬০%
মহিলা:৫০.৪০%|উত্তরবঙ্গের ১৬ টি জেলার মধ্য জনসংখ্যায় বৃহত্তম জেলা হচ্ছে বগুড়া। এবং সারা বাংলাদেশে ষষ্ঠ বৃহত্তম জেলা।



Related

বগুড়া জেলার ইতিহাস

খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতকে বগুড়া মৌর্য শাসনাধীনে ছিল। মৌর্য এর পরে এ অঞ্চলে চলে আসে গুপ্তযুগ । এরপর শশাংক, হর্ষবর্ধন, যশোবর্ধন পাল, মদন ও সেনরাজ বংশ ।

সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগড়া ১,২৭৯ থেকে ১,২৮২ পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছিল বগড়া (English:Bogra)। ইংরেজি উচ্চারন 'বগড়া' হলেও বাংলায় কালের বিবতর্নে নামটি পরিবর্তিত হয়ে 'বগুড়া' শব্দে পরিচিতি পেয়েছে। ২ এপ্রিল ২০১৮ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে বগুড়ার ইংরেজি নাম Bogura করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।



Related

বগুড়া জেলার সংসদীয় আসন কয়টি কী কী?

বগুড়া জেলার সংসদীয় আসন :৭টি 

  • বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা)
  • বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ)
  • বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি)
  • বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম)
  • বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট)
  • বগুড়া-৬ (বগুড়া সদর)
  • বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর)