Theballpen.com

An online resource for the competitive exams

×Close

Change category



📂 Paragraph for HSC 📂 Composition for HSC 📂 ভাব সম্প্রসারণ 📂 সারাংশ 📂 সারমর্ম 📂 বাংলা অনুচ্ছেদ 📂 বাংলা প্রবন্ধ রচনা

বাংলা ভাষা জিজ্ঞাসা


📂 ভাষা 📂 এক কথায় প্রকাশ 📂 ণত্ব ও ষত্ব বিধান 📂 ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ 📂 ধ্বনির পরিবর্তন 📂 বাংলা ব্যাকরণ ও আলোচ্য বিষয়

☰ All

Change category

Home 📂 বাংলা ব্যাকরণ 📂 বাংলা সাহিত্য 📂 English Grammar 📂 BCS model test 📂 Bank math 📂 Paragraph for HSC 📂 Composition for HSC 📂 ভাব সম্প্রসারণ 📂 সারাংশ 📂 সারমর্ম 📂 বাংলা রচনা 📂 বাংলা অনুচ্ছেদ

বাংলা ভাষা জিজ্ঞাসা

📂 ভাষা 📂 এক কথায় প্রকাশ 📂 ণত্ব ও ষত্ব বিধান 📂 ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ 📂 ধ্বনির পরিবর্তন 📂 বাংলা ব্যাকরণ ও আলোচ্য বিষয়





Close

পড়ুন

📂সকল বিষয়



ব্যাকরণ অংশ


ধ্বনিতত্ত্ব ধ্বনির পরিবর্তন বর্ণ ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব সন্ধি

বাংলা গ্রন্থ সমালোচনা



নাটক


কৃষ্ণকুমারী নাটক চিত্রাঙ্গদা নাটক জমীদার দর্পণ নাটক ডাকঘর নাটক বিসর্জন নাটক বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ প্রহসন রক্তকরবী নাটক সিরাজ-উ-দ্দৌলা সুবচন নির্বাসনে উজানে মৃত্যু কিত্তনখােলা টিনের তলােয়ার নূরলদীনের সারা জীবন নেমেসিস নবান্ন রক্তাক্ত প্রান্তর নীল দর্পণ সাজাহান একেই কি বলে সভ্যতা পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় কবর এর উপায় কি প্রহসন বহিপীর সধবার একাদশী

কাব্যগ্রন্থ/কাব্য


বঙ্গভাষা কবিতা বঙ্গভূমির প্রতি কবিতা মানসী কাব্যগ্রন্থ মেঘনাদবধ কাব্য সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ- দোলন চাঁপা কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি কাব্য তিলােত্তমাসম্ভব-কাব্য বিষের বাঁশী কাব্যগ্রন্থ অনল প্রবাহ ছাড়পত্র একুশে ফেব্রুয়ারি নকশী কাঁথার মাঠ মহাশ্মশান সাঁঝের মায়া সাত সাগরের মাঝি কপােতাক্ষ নদ বনলতা সেন বন্দী শিবির থেকে রাত্রিশেষ সােনালী কাবিন বঙ্গসুন্দরী রূপসী বাংলা

উপন্যাস


বিষাদ সিন্ধু বাধন হারা উপন্যাস মৃত্যু ক্ষুধা উপন্যাস আদিগন্ত আনােয়ারা আবদুল্লাহ নূরজাহান আরেক-ফাল্গুন আলালের ঘরের দুলাল উত্তম পুরুষ একটি ফুলের জন্য ওঙ্কার কপালকুণ্ডলা কবি কর্ণফুলী কাঁদো নদী কাঁদো কাশবনের কন্যা কৃষ্ণকান্তের উইল ক্রীতদাসের হাসি খাঁচায় খােয়াবনামা গৃহদাহ ঘর মন জানালা চাঁদের অমাবস্যা চিলেকোঠার সেপাই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জগদ্দল জননী জীবন আমার বােন জোছনা ও জননীর গল্প তিতাস একটি নদীর নাম দুর্গেশনন্দিনী দেবদাস নির্বাসন পথের পাঁচালী পদ্মরাগ পদ্মানদীর মাঝি পাপের সন্তান পােকামাকড়ের ঘরবসতি পিঙ্গল আকাশ পুতুলনাচের ইতিকথা পুবের সূর্য প্রদোষে প্রাকৃতজন বটতলার উপন্যাস যাত্রা রাইফেল রােটি আওরাত লালসালু শ্রীকান্ত সংশপ্তক সারেং বৌ সােনালী মুখােশ সূর্য দীঘল বাড়ী হাঁসুলীবাকের উপকথা হাঙ্গর নদী গ্রেনেড হাজার বছর ধরে হুতােম প্যাচার নকশা

গল্পগ্রন্থ/প্রবন্ধ


অবরােধবাসিনী আত্মজা ও একটি করবী গাছ কমলাকান্তের দপ্তর দেশে বিদেশে শকুন্তলা আয়না অপূর্ব ক্ষমা গাে-জীবন প্রবন্ধ

প্রাচীন ও মধ্যযুগ


মঙ্গলকাব্য শূন্যপুরাণ চর্যাপদ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পদ্মাবতী লাইলী মজনু ইউসুফ জোলেখা মৈমনসিংহ গীতিকা

গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক


মাইকেল মধুসূদন দত্ত মীর মশাররফ হােসেন

ভাব-সম্প্রসারণ



অর্থই অনর্থের মূল অর্থসম্পত্তির বিনাশ আছে ... এ জগতে হায় সে ই বেশি চায়... কত বড়ো আমি কহে নকল হীরাটি দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা... দুর্নীতি জাতীয় জীবনে... পরের অনিষ্ট চিন্তা করে... পাপকে ঘৃণা কর পাপীকে নয়... প্রয়োজনই উদ্ভাবনের জনক... প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত... প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয় কিন্তু... ভোগে নয় ত্যাগেই সুখ... মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের... যে একা সেই সামান্য... স্বদেশের উপকারে নাই যার মন... আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে.. ইচ্ছা-থাকলে-উপায়-হয়... কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে... চরিত্র মানবজীবনের অমূল্য সম্পদ... জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য... নানান দেশের নানান ভাষা... পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি পিতামাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে লাইব্রেরি জাতির সভ্যতা ও ... লোভে পাপ পাপে মৃত্যু... সবার উপরে মানুষ সত্য... রাত যত গভীর হয় প্রভাত... আলো বলে অন্ধকার তুই বড় কালো... অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে... আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য... উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে... কীর্তিমানের মৃত্যু নেই... গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন... জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন... দুঃখের মতো এত বড় পরশপাথর... দ্বার রুদ্ধ করে দিয়ে ভ্রমটাকে... পথ পথিকের সৃষ্টি করে না... বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি... বিশ্রাম কাজের অঙ্গ এক সাথে গাঁথা... মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন... যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই.. শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড শৈবাল দিঘীরে বলে উচ্চ করি শির... সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা... সঙ্গদোষে লোহা ভাসে... সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত... সেই ধন্য নরকুলে লোকে যারে নাহি ভুলে... স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র... স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে...

সারমর্ম



আমরা চলিব পশ্চাতে ফেলি... আমার একার সুখ... আসিতেছে শুভদিন... ই যে বিটপি শ্রেণি... এসেছে নতুন শিশু... কহিল মনের খেদে... কোথায় স্বর্গ কোথায়... ক্ষমা যেথা ক্ষীণ... ছোট বালুকার কণা বিন্দু... জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে... তরুতলে বসে পান্থ... ধন্য আশা কুহকিনী... নদী কভু পান... নম নম নম সুন্দরী... নিন্দুকেরে বাসি আমি... পরের কারণে স্বার্থ... পরের মুখে শেখা বুলি... পুণ্যে পাপে দুঃখে সুখে... বিপদে মোরে রক্ষা করো... ভদ্র মোরা শান্ত বড়ো... মরিতে চাহি না আমি... শৈশবে সদুপদেশ... সাম্যের গান গাই... সার্থক জনম আমার... স্বাধীনতা স্পর্শমণি... হউক সে মহাজ্ঞানী... হায় হায় জন্মিয়া... হে দারিদ্র্য তুমি মোরে... হে সূর্য শীতের সূর্য...

সারাংশ



অতীতকে ভুলে যাও... অপরের জন্য তুমি প্রাণ... অভাব আছে বলিয়াই... আজকের দুনিয়াটা আশ্চর্যভাবে... একজন মানুষ ভালো কি... শ্রম আমাদের দেশে... কিসে হয় মর্যাদা... কোনো সভ্য জাতিকে... ক্রোধ মানুষের পরম... খুব ছোট ছিদ্রের মধ্য... ছাত্রজীবন আমাদের... জাতিকে শক্তিশালী-শ্রেষ্ঠ... জাতি শুধু বাইরের... জীবনের একটি প্রধান লক্ষ্য... তুমি জীবনকে সার্থক... নিন্দা না থাকিলে... নিষ্ঠুর ও কঠিন মুখ... পৃথিবীতে যেখানে... প্রকৃত জ্ঞানের স্পৃহা... বিদ্যা মানুষের... ভবিষ্যতের ভাবনা... মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ... মানুষের জীবনকে... মানুষের মূল্য... মানুষের সুন্দর... মুখে অনেকেই... রূপার চামচ মুখে... শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে... সত্য ওজন দরে... সময় ও স্রোত... সমস্ত পৃথিবীর... সমাজের কাজ... সুশিক্ষিত লোকমাত্রই... সূর্যের আলোতে...

বাংলা প্রবন্ধ রচনা



অধ্যবসায় আমাদের গ্রাম আমাদের দেশ আমাদের বিদ্যালয় জীবনের লক্ষ্য আমার প্রিয় শিক্ষক ইন্টারনেট ও বাংলাদেশ একুশে ফেব্রুয়ারি কর্মমুখী শিক্ষা কুটিরশিল্প খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা গ্রন্থাগার চরিত্র ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু... দেশ ভ্রমণ পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য বই পড়ার আনন্দ বাংলাদেশের উৎসব বাংলাদেশের কৃষক বাংলাদেশের নদ নদী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ষড়ঋতু বাংলা নববর্ষ বিজয় দিবস শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস শহিদ মিনার শিষ্টাচার শৃঙ্খলা/নিয়মানুবর্তিতা শ্রমের মর্যাদা সংবাদপত্র সততা স্বদেশপ্রেম স্বাধীনতা দিবস আমার দেখা একটি মেলা আমার প্রিয় খেলা আমার শৈশব স্মৃতি ইভ টিজিং একটি ঐতিহাসিক স্থান শীতের সকাল কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিস্ময় কৃষিকাজে বিজ্ঞান ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ গ্রাম্য মেলা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান জাতি গঠনে নারীসমাজের ভূমিকা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার বর্ষণমুখর একটি সন্ধ্যা বর্ষাকাল বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা ও... বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ... বাংলাদেশের বেকার সমস্যা ও.. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও... বিদ্যুৎ ও আধুনিক জীবন বিশ্ব যোগাযোগে ইন্টারনেটের ভূমিকা বৃক্ষরোপণ অভিযান ভূমিকম্প ঝুঁকিতে বাংলাদেশ মাদকাসক্তি ও তার প্রতিকার সমাজকল্যাণে ছাত্রসমাজের ভূমিকা

বাংলা অনুচ্ছেদ



বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একুশে বইমেলা প্রিয় শিক্ষক পিতা-মাতা শিক্ষাসফর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অতিথি পাখি বর্ষণমুখর দিন নারী শিক্ষা সড়ক দুর্ঘটনা বই পড়া সত্যবাদিতা বিদ্যালয়ের শেষ দিন পহেলা ফাল্গুন ডিজিটাল বাংলাদেশ সততা দুর্নীতি আমাদের লোকশিল্প যানজট কম্পিউটার শীতের সকাল বিশ্বায়ন মহান বিজয় দিবস পরিবেশ দূষণ জাতীয় পতাকা ইন্টারনেট স্বেচ্ছায় রক্তদান

English Grammar


Sentence Parts of speech Number Gender Noun GO TOP




















Close

পরীক্ষা দিন

All in one menu ( 100 sets )

📂 বাংলা



বাংলা ভাষা ও লিপি-01 বাংলা ভাষা ও লিপি-02 বাংলা ভাষা ও লিপি-03 সাধু ও চলিত রীতি -01 সাধু ও চলিত রীতি -02 বাংলা ব্যাকরণের বিকাশ-01 বাংলা ব্যাকরণের বিকাশ-02 ধ্বনি-01 ধ্বনি-02 বর্ণ-01 বর্ণ-02 ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান সন্ধি-01 সন্ধি-02 সন্ধি-03 সন্ধি-04 সন্ধি-05 বচন সমাস-01 সমাস-02 সমাস-03 সমাস-04 সমাস-05 উপসর্গ ও অনুসর্গ-০১ উপসর্গ ও অনুসর্গ-০২ ধাতু প্রত্যয়-০১ প্রত্যয়-০২ শব্দ-০১ শব্দ -০২ শব্দ -০৩ পদ প্রকরণ-০১ পদ প্রকরণ-০২ কাল,পুরুষ,বাংলা অনুজ্ঞা কারক ও বিভক্তি-01 কারক ও বিভক্তি-02 বাক্য প্রকরণ বিরাম চিহ্ন বিরাম চিহ্ন-02 ছন্দ ও অলংকার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০১ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০২ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০৩ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০৪ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০৫ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০৬ সমার্থক শব্দ-০১ সমার্থক শব্দ-০২ সমার্থক শব্দ-০৩ সমার্থক শব্দ-০৪ সমার্থক শব্দ-০৫ বিপরীতার্থক শব্দ-01 বিপরীতার্থক শব্দ-02 বিপরীতার্থক শব্দ-03 বিপরীতার্থক শব্দ-04 পরিভাষা-01 পরিভাষা-02 পরিভাষা-03 বাগধারা-০১ বাগধারা-০২ বাগধারা-০৩ এক কথায় প্রকাশ-০১ এক কথায় প্রকাশ-০২ এক কথায় প্রকাশ-০৩ এক কথায় প্রকাশ-০৪ এক কথায় প্রকাশ-০৫ প্রবাদ-প্রবচন অনুবাদ ছন্দ ও অলংকার একই শব্দের বিভিন্নার্থে প্রয়োগ বিবিধ-০১ বিবিধ-০২

📂 English MCQ test



✓ Test on noun-01 ✓ Test on noun-02 ✓ Test on noun-03 ✓ Test on noun-04 ✓ Test on noun-05
✓ Test on pronoun-01 ✓ Test on pronoun-02
✓ Test on gender-01 ✓ Test on gender-02
✓ Test on number-01 ✓ Test on number-02

📂 BCS model test



✓ BCS english model test-01 ✓ BCS english model test-02 ✓ BCS english model test-03 ✓ BCS english model test-04 ✓ BCS english model test-05 ✓ BCS english model test-06 ✓ BCS english model test-07 ✓ BCS english model test-08 ✓ BCS english model test-09 ✓ BCS english model test-10 ✓ BCS english model test-11 ✓ BCS english model test-12 ✓ BCS english model test-13 ✓ BCS english model test-14 ✓ BCS english model test-15 ✓ BCS english model test-16 ✓ BCS english model test-17

📂 Math MCQ test



Number system-01 Number system-02 Number system-03 Number system-04 Number system-05 Number system-06 Number system-07 Number system-08 Number system-09 Number system-10
Divisibility-01 Divisibility-02 Divisibility-03 Divisibility-04 Divisibility-05
Fraction-01 Fraction-02 Fraction-03 Fraction-04 Fraction-05
Factors-01 Factors-02





















বাংলা



ব্যাকরণ অংশ


ধ্বনির পরিবর্তন বর্ণ ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব সন্ধি বাক্য এক কথায় প্রকাশ

সাহিত্য অংশ


গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক


মাইকেল মধুসূদন দত্ত মীর মশাররফ হােসেন

গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য কর্ম


অপূর্ব ক্ষমা একেই কি বলে সভ্যতা এর উপায় কি প্রহসন কপােতাক্ষ নদ কৃষ্ণকুমারী নাটক গাে-জীবন প্রবন্ধ গীতাঞ্জলি কাব্য চিত্রাঙ্গদা নাটক জমীদার দর্পণ নাটক ডাকঘর নাটক তিলােত্তমাসম্ভব-কাব্য বঙ্গভাষা কবিতা বঙ্গভূমির প্রতি কবিতা বিষাদ সিন্ধু বিসর্জন নাটক বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ প্রহসন মানসী কাব্যগ্রন্থ মেঘনাদবধ কাব্য রক্তকরবী নাটক সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ- দোলন চাঁপা কাব্যগ্রন্থ বাধন হারা উপন্যাস বিষের বাঁশী কাব্যগ্রন্থ মৃত্যু ক্ষুধা উপন্যাস














Test yourself

Level-one


ভাষা আলোচ্য বিষয় ধ্বনি বর্ণ ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব সন্ধি-01 সন্ধি-02 সন্ধি-03 সন্ধি-04 সন্ধি-05 পুরুষ ও স্ত্রী বাচক শব্দ দ্বিরুক্ত শব্দ সংখাবাচক শব্দ বচন পদাশ্রিত নির্দেশক সমাস সমাস সমাস সমাস সমাস উপসর্গ-০১ উপসর্গ-০২ উপসর্গ ধাতু প্রত্যয় শব্দ শব্দের শ্রেণিবিভাগ পদ প্রকরণ ক্রিয়া পদ ক্রিয়ার প্রয়োগ কাল,পুরুষ বাংলা অনুজ্ঞা ক্রিয়া বিভক্তি কারক ও বিভক্তি-01 কারক ও বিভক্তি-02 অনুসর্গ বাক্য প্রকরণ বাক্যর শ্রেণিবিভাগ বাক্যর পদ-সংস্থাপন ক্রম শব্দের যোগ্যতা বাচ্য ও বাচ্য পরিবর্তন উক্তি পরিবর্তন বিরাম চিহ্ন ছন্দ ও অলংকার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ বানান ও বাক্য শুদ্ধি সমার্থক শব্দ বিপরীতার্থক শব্দ পরিভাষা একই শব্দ বিভিন্ন অর্থে প্রয়োগ বাগধারা-০১ বাগধারা-০২ বাগধারা-০৩ এক কথায় প্রকাশ-০১ এক কথায় প্রকাশ-০২ এক কথায় প্রকাশ-০৩ এক কথায় প্রকাশ-০৪ এক কথায় প্রকাশ-০৫ প্রবাদ-প্রবচন অনুবাদ

বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ এককথায় প্রকাশ


যা যা আলোচনা করা হবে।

  • ✓ বাক্য-সংকোচন বা বাক্য-সংক্ষেপণ (এককথায় প্রকাশ]
  • ✓ বাক্য সংকোচনের কতিপয় দৃষ্টান্ত
  • ✓ গুরুত্বপূর্ণ বাক্য সংকোচনের উদাহরণ
  • বাক্য-সংকোচন বা বাক্য-সংক্ষেপণ /এককথায় প্রকাশ

    একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য-সংক্ষেপণ বলে। এটি বাক্য সংকোচন বা ‘এক কথায় প্রকাশে’রই নামান্তর। (মুনীর চৌধুরী ও মােফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড কর্তৃক প্রকাশিত)।]
    ✓ বাক্য ভাষার একক হিসেবে কাজ করে।
    ✓ সুবিন্যস্ত অর্থসঙ্গতিপূর্ণ শব্দসমষ্টি, বিভক্তিযুক্ত হয়ে পদরূপে বক্তার মনােভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করলে তাকে বাক্য বলে।
    ✓ বাক্য গঠনের উপাদান হল পদ। পদ বা পদসমষ্টি বাক্য গঠন করে।

    একটি বাক্য গঠনের জন্যে পদের সংখ্যা কত হবে, তার কোনাে রকম বিধিবিধান নেই। একটি হতে পারে, একের বেশি হতে পারে। যেমন-‘এসাে’ (এক পদের বাক্য)। সালমাদের বাড়িটা আগে পড়ে’ (একাধিক পদের বাক্য)।

    বাক্য কেবল অর্থসম্মত ও ব্যাকরণের বিধিবিধান অনুসৃত শুদ্ধ গুণান্বিত হবে তা নয়, কোথাও সংক্ষিপ্ততার সুমিতিবােধের প্রকাশে, কোথাও বা বিস্তৃতির দীর্ঘ বাক-বিন্যাসে শিল্প সৌন্দর্যের সুষমায় হবে সাহিত্যগুণের অধিকারী। সেজন্য বাক্যের গঠন-বৈশিষ্ট্য অধিগত হওয়ার পাশাপাশি বাক্য-সংকোচন ও বাক্য–সম্প্রসারণের ক্ষমতা অর্জিত হওয়া প্রয়ােজন।

    বাক্য-সংকোচনের নিয়ম ও কতিপয় দৃষ্টান্ত

    বক্তব্যকে সুন্দর ও মধুর করে প্রকাশের উদ্দেশ্যে বাক্যাংশ কিংবা বাক্যকে প্রয়ােজনমত সংকোচন করে নেওয়া হয়। বাক্যাংশই হােক্ বা বাক্যই হােক সাধারণত বহুপদের সমষ্টি দ্বারা তা তৈরি হয়। বহুপদকে একপদে পরিণত করার মধ্য দিয়ে বাক্যাংশের বা বাক্যের সংকোচন-কাজ চলে। একেই বলা হয় বাক্য-সংকোচন, নামান্তরে একপদীকরণ বা বাংহতি।

    সাধারণভাবে কৃৎ বা তদ্ধিত প্রত্যয় যােগে বা সমাস-নিম্পন্নের দ্বারা কিংবা ভিন্ন শব্দ প্রয়ােগ করে বাক্য-সংকোচনের প্রক্রিয়া চলে।
    (ক) কৃৎপ্রত্যয় যােগে-
    ১. পালন করে যে—পালক (পালি+অ)। ২. পানের যােগ্য—পানীয় (পা+অনীয়)। ৩. যা বৃদ্ধি পাচ্ছে—বর্ধিষ্ণু (বৃধ+ইষ্ণু)। ৪. যা বার বার দুলছে—দোদুল্যমান (vদুল্+য+ শান)।
    (খ) তদ্ধিত প্রত্যয় যােগে-
    ১. তিল থেকে জাত-তৈল (তিল+অ)। ২. গঙ্গার পুত্র—গাঙ্গেয় (গঙ্গা+এয়)। ৩. বেনারসে তৈরি-বেনারসি (বেনারস+ই)।
    (গ) সমাস-নিপন্ন হয়ে
    ১. রাজার অনুসৃত নীতি রাজনীতি (মধ্যপদলােপী কর্মধারয়)। ২. শূল পাণিতে যার শূলপাণি (বহুব্রীহি)। ৩. অন্য যুগ-যুগান্তর (নিত্যসমাস)।
    (ঘ) ভিন্ন শব্দ প্রয়ােগে-
    ১. যে ধুয়া ধরে দোয়ার । দোহার। ২. অলংকারের ধ্বনি—শিঞ্জন, ৩. গ্রন্থাদির অধ্যায়কেন্দ।


    গুরুত্বপূর্ণ বাক্য সংকোচনের উদাহরণ


    অ, আ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    অন্বেষণ করবার ইচ্ছা — অন্বেষা আকালের বছর — দুবছর
    অনুসন্ধানের ইচ্ছা — অনুসন্ধিৎসা আকাশে (খ-তে) চরে যে — খেচর / খচর
    অল্প কথা বলে যে — অল্পভাষী আকাশে যে বিচরণ করে — নভশ্চর
    অশ্বের চালক — সাদি আকাশে (খ-তে) ওড়ে যে বাজি — খ-ধূপ
    অতিক্রমের যােগ্য — অতিক্ৰমণীয় আকাশ ও পৃথিবী বা স্বর্গ ও মর্ত্য — ক্রন্দসী
    অক্ষির সমীপে — সমক্ষ আকাশ স্পর্শ করে যা — আকাশস্পর্শী
    অক্ষির অগােচরে — পরােক্ষ আনন্দজনক ধ্বনি — নন্দিঘােষ
    অক্ষি পত্রের (চোখের পাতা) লােম — অক্ষিপক্ষ্ম অশ্বের ডাক — হেষা
    অক্ষিতে কাম যার (যে নারীর) = কামাক্ষী অপে জন্মে যা — অজ
    অক্ষির অভিমুখে — প্রত্যক্ষ অপকার করার ইচ্ছা — অপচিকীর্ষা
    অনুসন্ধান করার ইচ্ছা — অনুসন্ধিৎসা আনন্দের আতিশয্যে সৃষ্ট কোলাহল — হররা
    অনুকরণ করার ইচ্ছা — অনুচিকীর্ষা অল্পকাল স্থায়িত্ব যার — ক্ষণস্থায়ী
    আজন্ম শত্র — জাতশত্রু অতিক্রম করা যায় না যা — অনতিক্রম্য, অনতিক্ৰমণীয়
    অতি আসন্ন — প্রত্যাসন্ন আবক্ষ জলে নেমে স্নান — অবগাহন
    অতি উচ্চ ধ্বনি — মহানাদ অকালে পক্ক হয়েছে যা — অকালপক্ব
    অগ্রে গমন করে যে — অগ্রগামী অতি উচ্চ বিকট হাসি — অট্টহাস্য
    আশা ভঙ্গজনিত খেদ — বিষাদ আয়নায় দেখা মূর্তি — প্রতিবিম্ব
    অতি উচ্চ রােল — উতরােল অক্ষির সমক্ষে বর্তমান — প্রত্যক্ষ
    অনেকের মধ্যে একজন — অন্যতম অতিশয় রমণীয় — সুরম্য
    আরাধনার যােগ্য যিনি — আরাধ্য আমার সদৃশ — মাদৃশ
    অনুতে (বা পশ্চাতে) জন্মেছে যে — অনুজ অত্যন্ত প্রফুল্ল — উৎফুল্ল
    অহংকার নেই যার — নিরহংকার অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার — অনভিজ্ঞ
    অনুচিত বল প্রয়ােগকারী — হঠকারী অত্যন্ত শৌখিন লােক — ফুলবাবু
    আহ্বান করা হয়েছে যাকে — আহূত আদরিণী কন্যা — দুলালি
    অন্য বার — বারান্তর অন্য গতি — গত্যন্তর
    অন্য লােক — লোকান্তর অন্য কাল — কালান্তর
    অন্য যুগ — যুগান্তর অন্য জন্ম — জন্মান্তর
    অধ্যাপনা করেন যিনি — অধ্যাপক অনায়াসে যা লাভ করা যায় — অনায়াসলভ্য
    অহনের অপর অংশ — অপরাহ্ণ অহনের পূর্বাংশ — পূর্বাহ্ণ
    অহনের মধ্য অংশ — মধ্যাহ্ন অনভিজ্ঞের অভিজ্ঞ আচরণ — অকালপক্বতা
    অন্য উপায় নেই যার — অনন্যোপায় অন্য কোন কর্ম নেই যার — অনন্যকর্মা
    অন্য কোন গতি নেই যার — অনন্যগতি অন্ত নাই যার — অনন্ত
    অবিবাহিত ব্যক্তি — অকৃতদার, অনুট অন্য গতি নেই যার — অগত্যা
    অন্তর্গত অপ যার — অন্তরীপ অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি — ধুরন্ধর
    অর্ধেক সম্মত — নিমরাজি অন্য দিকে মন যার — অন্যমনা, অন্যমনক
    অঙ্গের সঙ্গে বর্তমান — সাঙ্গ অরিকে জয় করেছে যে — অরিজিৎ
    আদি নেই যার — অনাদি আকস্মিক দুর্দৈব — উপদ্রব
    অণুকে দেখা যায় যার দ্বারা — অণুবীক্ষণ অশ্ব রাখার স্থান — আতাবল
    অপকার করার ইচ্ছা — অপচিকীর্ষা অতর্কিত অবস্থায় হত্যাকারী বা আক্রমণকারী — আততায়ী
    আত্মাকে অধিকার করে — অধ্যাত্ম আপনাকে ভুলে থাকে যে — আত্মভােলা
    অবজ্ঞায় নাক উঁচু করে যে — উন্নাসিক আকাশ মাধ্যমে আগত বাণী — আকাশবাণী
    অল্পকাল স্থায়িত্ব যার — ক্ষণভঙ্গুর আরােহণ করে যে — আরােহী
    আসছে যে — আগত অতীতের বিষয়ের জন্য শােক প্রকাশ — গতানুশােচনা
    আইন-বিরােধী কাজ — বে-আইনী অতিকষ্টে যা নিবারণ করা যায় — দুর্নিবার
    আকাশ ও পৃথিবী — ক্রন্দসী অর্থহীন উক্তি — প্রলাপ
    অপূর্ব সৃষ্টিশীল ক্ষমতা — প্রতিভা আচারে নিষ্ঠা আছে যার — আচারনিষ্ঠ
    অক্ষির অগােচরে — পরােক্ষ আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে — পণ্ডিতমন্য
    অল্প পরিশ্রমে শ্রান্ত নারী — ফুলটুসি আয়ুর পক্ষে হিতকর — আয়ুষ্য
    অনেক অভিজ্ঞতা আছে যার — বহুদর্শী, ভূয়ােদশী অবলীলার সঙ্গে — সাবলীল
    আল্লাহর অস্তিতে বিশ্বাস আছে যার — আস্তিক আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার — নাস্তিক
    অলংকারের ধ্বনি — শিঞ্জন আজীবন অবিবাহিত আছে যে — চিরকুমার
    অনুসরণ করে যে — অনুসারী আঘাতের বিপরীত — প্রত্যাঘাত, প্রতিঘাত
    অসূয়া নেই যার (স্ত্রী) — অনসূয়া অন্তরকে নিয়ন্ত্রণ করেন যিনি — অন্তর্যামী
    আগামীকালের পরের দিন — পরশু অন্য ভাষায় অনুবাদ — অনূদিত
    আদি নেই যার — অনাদি আকাশের রং — আকাশি
    অন্ধকার রাত্রি — তামসী আকাশে বেড়ায় যে — আকাশচারী, খেচর
    অন্যের অপেক্ষা করতে হয় না যাকে — অনপেক্ষ অকর্মণ্য গবাদি পশু রাখার স্থান — পিজরাপােল
    অকালে উৎপন্ন কুমড়া — অকালকুণ্ড অগ্রহায়ণ মাসে সন্ধ্যাকালীন ব্রত (কুমারীদের) — সেঁজুতি
    অতিশয় ঘটা বা জাকজমক — বড়ম্বর অধর-প্রান্তের হাসি — বক্রোষ্ঠিকা
    অনশনে মৃত্যু — প্রায় অভ্রান্ত জ্ঞান — প্রমা
    অন্যের মনােরঞ্জনের জন্য অসত্য ভাষণ — উপচার আশীর্বাদ ও অভয়দানসূচক হাতের মুদ্রা — বরাভয়
    অলঙ্কারের ধ্বনি — শিঞ্জন আশ্বিনমাসের পূর্ণিমা তিথি — কোজাগর
    অভ্র (মেঘ) লেহন স্পর্শ করে যা — অভ্রংলিহ আকাশ ও পৃথিবীর অন্তরাল — রােদসী
    অজ (ছাগল)কে গ্রাস করে যা — অজগর অকালেপক্ব হয়েছে যে — অকালপক্ব
    অহংকার নেই যার — নিরহংকার অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার — অনভিজ্ঞ
    অন্য গতি নাই যার — অগত্যা অশ্ব-রথ-হস্তী-পদাতিক সৈন্যের সমাহার — চতুরঙ্গ
    অষ্টপ্রহর (সারা দিন) ব্যবহার্য যা — আটপৌরে অন্তরে জল আছে এমন যে (নদী) — অন্তঃসলিলা
    অন্তরে যা ঈক্ষণ (দেখার) যােগ্য — অন্তরীক্ষ আভিজাত্যপূর্ণ মনে হলেও আসলে অর্থহীন ও বিভ্রান্তিকর — হিংটিংছট
    অবজ্ঞায় নাক উঁচু করেন যিনি — উন্নাসিক আচারে নিষ্ঠা আছে যার — আচারনিষ্ঠ
    অন্ন-ব্যঞ্জন ছাড়া অন্য আহার্য — জলপান আপনাকে কেন্দ্র করে চিন্তা — আত্মকেন্দ্রিক
    অবশ্যই যা হবে — অবশ্যম্ভাবী আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত — আদ্যোপান্ত
    অগ্রসর হতে অনিচ্ছুক — পশ্চাৎপদ অরিকে দমন করে যে — অরিন্দম

    ই, ঈ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    ইহলােক বিষয়ক — ঐহিক ইতস্তত ভ্রমণ — বিচরণ, প্রসর
    ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি — ইতিহাসবেত্তা ইতিহাস রচনা করেন যিনি — ঐতিহাসিক
    ইন্দ্রিয়কে জয় করেন যিনি — জিতেন্দ্রিয় ইসলামি শাস্ত্র অনুযায়ী নির্দেশ — ফতােয়া
    ইহার তুল্য — ঈদৃশ ইতঃপূর্বে দণ্ডিত ব্যক্তি — দাগি
    ইষ্টক নির্মিত গৃহ — অট্টালিকা ঈষৎ মধুর — আমধুর
    ঈষৎ নীলাভ — আনীল ঈষৎ রক্তবর্ণ — আরক্ত
    ঈষৎ আমিষ (আঁষ) গন্ধ যার — আঁষটে ঈষৎ উষ্ণ — কৰােষ্ণ
    ঈষৎ কৃষ্ণ — কালচে ঈষৎ পাণ্ডুবর্ণ — ধূসর
    ঈষৎ নীলবর্ণ — নীলাভ ঈষৎ কম্পিত — আধুত
    ইতস্তত গমনশীল বা সঞ্চরণশীল — বিসৰ্পী ইন্দ্রের অশ্ব — উচ্চৈঃশ্রবা
    ইন্দ্রকে জয় করেন যিনি — ইন্দ্রজিৎ ইন্দ্রজাল (জাদু) বিদ্যায় পারদর্শী — ঐন্দ্রজালিক
    ঈষৎ হাস্য — মিত ঈশ্বর বিষয়ক — ঐশ্বরিক

    উ, ঊ, ঋ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    উত্তর দিক সম্পর্কিত — উদীচ্য উপন্যাস রচয়িতা — ঔপন্যাসিক
    উল্লেখ করা হয় না যা — উহ্য ইতিহাস রচনা করেন যিনি — ঐতিহাসিক
    উপকার করার ইচ্ছা — উপচিকীর্ষা উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে — কৃতজ্ঞ
    উপকারীর উপকার যে স্বীকার করে না — অকৃতজ্ঞ উপকারীর অপকার করে যে — কৃতঘ্ন
    উদর সম্পর্কিত — ঔদরিক উদিত হচ্ছে যা — উদীয়মান
    উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়ােগের ক্ষমতা — প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব উদগিরণ করা হয়েছে এমন — উদগীর্ণ
    উচ্চ হাস্যকারী — অট্টহাসক উদ্দাম নৃত্য — তাণ্ডব
    উপায় নেই যার — নিরুপায় উত্তপ্ত করা হয়েছে — উত্তাপিত
    উরস (বক্ষ) দিয়ে হাঁটে যে — উরগ (সর্প) উপদেশ ছাড়া লব্ধ প্রথম জ্ঞান — উপজ্ঞা
    উদ্ভিদের নতুন পাতা — পল্লব / কিশলয় ঊর্ধ্ব থেকে নেমে আসা — অবতরণ
    ঊর্ধ্বদিকে গমন করে — যে ঊর্ধ্বগামী ঊর্ধ্বদিকে গতি যার — ঊর্ধ্বগতি
    ঊর্ধ্বমুখে সঁতার — চিৎসাঁতার উদক (জল) পানের ইচ্ছা — উদন্যা
    ঋষির ন্যায় — ঋষিকল্প ঋষির তুল্য — ঋষিতুল্য
    ঋণশােধে অসমর্থ — দেউলিয়া ঋতুতে ঋতুতে যজ্ঞ করেন যিনি — ঋত্বিক
    উচ্চস্থানে অবস্থিত ক্ষুদ্র কুটির — টঙ্গি ঋণ শােধের জন্য যে ঋণ করা হয় — ঋণার্ণ

    এ , ঐ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    একবার শুনলে যার মনে থাকে — শুতিধর একই কালে বর্তমান — সমকালীন
    একই সময়ে বর্তমান — সমসাময়িক একই গুরুর শিষ্য — সতীর্থ
    এক তারযুক্ত বাদ্যযন্ত্র — একতারা, গােপীযন্ত্র একই মায়ের সন্তান — সহােদর
    একই অর্থের শব্দ — প্রতিশব্দ একসঙ্গে যারা যাত্রা করে — সহযাত্রী
    এঁটেল ও বেলেমাটির মিশ্রণ — দোআশ এ পর্যন্ত যার শত্রু জন্মায়নি — অজাতশত্রু
    এক থেকে আরম্ভ করে — একাদিক্ৰমে একই মাতার উদরে জাত যারা — সহােদর
    একের পরিবর্তে অনেক — বিকল্প একের পরিবর্তে অপরের সই — বকলম
    এক ভাষার মধ্যে অন্য ভাষার প্রয়ােগ — বুকনি এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ঘুরে বেড়ায় যে — যাযাবর
    একই সময়ে — যুগপৎ ঐক্যের অভাব আছে যাতে — অনৈক্য
    ঐশ্বর্যের অধিকারী যিনি — ঐশ্বর্যবান একশত পঞ্চাশ বছর — সার্ধশতবর্ষ
    এক বস্তুতে অন্য বস্তুর কল্পনা — অধ্যাস ঐতিহাসিককালেরও আগের — প্রাগৈতিহাসিক

    ও , ঔ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    ওষ্ঠ ও অধর — ওষ্ঠাধর ওষ্ঠের দ্বারা উচ্চারিত — ওষ্ঠ্য
    ওজন করা হয় যে যন্ত্রের সাহায্যে — তুলাদণ্ড ওষধি থেকে উৎপন্ন — ঔধষ
    ঔষধের বিপণি — ঔষধালয়

    ক , খ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    কেউ যা জানে না — অজ্ঞাত / অজানা কথায় যা প্রকাশ করা যায় না — অনির্বচনীয়।
    কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী — কর্মঠ কর্ম করার শক্তি যার নেই — অকর্মণ্য
    কোন কিছুতে ভয় নেই যার — অকুতােভয়। কণ্ঠ পর্যন্ত — আকণ্ঠ
    কখনও যা চিন্তা করা যায় না — অচিন্ত্য/ অচিন্তনীয় কথা যে বলতে পারে না — অবলা
    কর্ণ পর্যন্ত — আকর্ণ কোথাও উঁচু কোথাও বা নিচু — বন্ধুর
    কী করতে হবে যে স্থির করতে পারে না — কিংকর্তব্যবিমূঢ় কুৎসিত আকার যার — কদাকার
    কালে যা ঘটে — কালীন কৃষি থেকে উৎপন্ন — কৃষিজ
    ক্ষুদ্র শিয়াল — খেকশিয়াল ক্ষমা করতে ইচ্ছুক — তিতিক্ষু
    ক্ষুদ্র হাঁস — পাতিহাঁস ক্ষমা করার ইচ্ছা — তিতিক্ষা
    ক্ষুদ্র লেবু — পাতিলেবু কূলের বিপরীত — প্রতিকূল
    ক্ষুদ্র রাজা — রাজড়া কল্পনার দ্বারা রচিত মূর্তি — ভাবমূর্তি
    ক্ষুদ্র প্রলয় — খণ্ডপ্রলয় কাচের তৈরি বাড়ি — শিশমহল
    ক্ষুদ্র চিহ্ন — বিন্দু খুব দীর্ঘ নয় — নাতিদীর্ঘ, অনতিদীর্ঘ
    ক্ষুদ্র বাগান — বাগিচা কাজে যার অভিজ্ঞতা আছে — করিতকর্মা
    ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড — নুড়ি কথার মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রসঙ্গ বা প্রচনাদি প্রয়ােগ — বুকনি
    ক্ষুদ্র নাটক — নাটিকা খাতাপত্র রাখার ঘর — দস্তরখানা
    ক্ষুদ্র ঢাক বা ঢাক জাতীয় বাদ্যযন্ত্র — নাকাড়া ক্ষুদ্র জাতীয় বক — বলাক
    ক্ষুদ্র জাতীয় বকের শ্রেণি — বলাকা ক্ষুদ্র গ্রাম — পল্লিগ্রাম
    ক্ষুদ্র গাছ — গাছড়া কি করতে হবে তা বুঝতে না পারা — কিংকর্তব্যবিমূঢ়
    ক্ষুদ্রকায় ঘােড়া — টাট্ট কোনাে কিছু থেকেই যার ভয় নেই — অকুতোভয়
    ক্ষুদ্র অঙ্গ — উপাঙ্গ ক্ষমা করার ইচ্ছা — তিতিক্ষা
    ক্ষুদ্র লতা — লতিকা কাচের তৈরি ঘর — শিশমহল
    ক্ষুদ্র রথ — রথার্ভক ক্রিয়ার বিপরীত — প্রতিক্রিয়া
    ক্ষুদ্র বিন্দু — ফুটকি খরচের হিসাব যার নেই — বেহিসেবি
    ক্ষুদ্র নালা — নালি ক্ষমার যােগ্য — ক্ষমার্হ
    ক্ষুদ্র মৃৎপাত্র — ভাড় ক্ষুদ্র ফোড়া — ফুসকুড়ি
    ক্ষুদ্র নদী — সারণি কোনাে ভাবেই যা নিবারণ করা যায় না — অনিবার্য
    ক্ষুদ্র কূপ — পাতকুয়া ক্ষুদ্র বা নিচু কাঠের আসন — পিঁড়ি

    গ, ঘ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    গােরু রাখার স্থান — গােশাল, গােয়াল গ্রন্থাগার রক্ষা করে যে — গ্রন্থাগারিক
    গাছে উঠতে পটু যে — গেছো গ্রন্থাগার রক্ষা করে যে — গ্রন্থাগারিক
    গমনের ইচ্ছা — জিগমিষা গােপন করার ইচ্ছা — জুগুপ্সা
    গৃহে থাকে যে — গৃহস্থ গুরুর ভাব — গরিমা
    গভীর রাত্রি — নিশীথ গাে দোহনকারিণী — কন্যাদুহিতা
    ঘােলার ভাব — ঘােলাটে ঘােড়া থাকার স্থান — ঘােড়াশাল, আতাবল
    ঘােড়ার গাড়ির চালক — কোচওয়ান ঘাের অন্ধকার রাত্রি — তামসী, তমিস্ত্রী
    ঘটনার বিবরণ দান — প্রতিবেদন ঘােড়ায় টানা গাড়ি — ঘােড়গাড়ি
    গাড়ি চালায় যে — গাড়ােয়ান গৃহে আগত অজ্ঞাত ব্যক্তি — অতিথি
    ঘটনার বিবরণ দান — প্রতিবেদন জ্ঞানের সঙ্গে বিদ্যমান — সজ্ঞান
    গুরুর বাসগৃহ — গুরুকুল গদ্যপদ্যময় কাব্য — চম্পৃ
    গরুর খুরে চিহ্নিত স্থান — গােম্পদ ঘরের অভাব — হা-ঘর
    গম্ভীর ধ্বনি — মন্দ্র

    চ, ছ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    চোখে দেখা যায় যা — প্রত্যক্ষ চোখের দ্বারা দৃষ্ট — চাক্ষুষ
    চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত — চাক্ষুষ চিরস্থায়ী নয় যা — অনিত্য, নশর
    চৈত্র মাসের ফসল — চৈতালি চার রাস্তার মিলনস্থল — চৌরাস্তা
    চুষে খেতে হয় যা — চূষ্য চক্ষুলজ্জাহীন ব্যক্তি — চশমখাের
    চোখের দ্বারা গৃহীত — গােচর চিরকাল মনে রাখার যােগ্য — চিরস্মরণীয়
    চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত — চাক্ষুষ ছন্দে নিপুণ যিনি — ছান্দসিক
    চোখের কোন — অপাঙ্গ ছল করে কান্না — মায়াকান্না

    জ, ঝ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    জানু পর্যন্ত — আজানু জানু পর্যন্ত সম্বিত — আজানুলম্বিত
    জেনেও যে পাপ করে — জ্ঞানপাপী জ্বলজ্বল করছে যা — জাজ্বল্যমান
    জলে থলে যে জন্তু বিচরণ করে — উভচর, উভয়চর জয় করা হয়েছে — জিত
    জলে জন্মে যা — জলজ জাহাজের খালাসি — লকর, লশকর
    জয়সূচক যে উৎসব — জয়ন্তী জল দেখে ভয় পাওয়া — জলাতক
    জীবিত থেকেও যে মৃত — জীবন্ত জিভের দ্বারা যা উচ্চারিত হয় — জবানি
    জানার ইচ্ছা — জিজ্ঞাসা জনবিরল বিশাল প্রান্তর — তেপান্তর
    জলে চরে যে — জলচর জন্মেনি যে — অজ
    জানা যায় না যা — অজ্ঞেয় ঝন ঝন শব্দ — ব্যকার, ঝনৎকার
    জানা যায় না যা — অজ্ঞেয় ঝাড়মােছ হয় যার দ্বারা — ঝাড়ন
    ঝট করে টান — ঝটকা ঝড়ের প্রচণ্ড ধাক্কা — ব্যপট
    জ্বলছে যে অর্চি (শিখা) — জ্বলদর্চি জলপানের জন্য দেয় অর্থ — জলপানি (বৃত্তি)
    জ্বল জ্বল করছে যা — জাজ্বল্যমান জীবিত থেকেও যে মৃত — জীবন্ত
    জয়ের জন্য যে উৎসব — জয়ন্তী

    ট, ঠ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    টাইমের বাইরে — বেটাইম টোল পড়ে নি এমন — নিটোল
    ঠিক নয় — বেঠিক ঠাকুরের ভাব — ঠাকুরালি
    ঠাণ্ডায় পীড়িত — শীতার্ত টিপির মতাে — ঢ্যাপসা
    ঠাণ্ডায় পীড়িত — শীতার্ত ঠেঙিয়ে ডাকাতি করে যারা — ঠ্যাঙারে

    ড, ঢ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    ঢাক বাজায় যে — ঢাকি ঢেউয়ের ফলে ছলাৎ ছল শব্দ — ছলচ্ছল
    ডুব দিতে জানে যে — ডুবুরি ডাক বহন করে যে — ডাকহরকরা
    ডিঙি বইবার দাড় — বৈঠা ঢাক বাজায় যে — ঢাকি

    ত, থ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    তােপের ধ্বনি — গুড়ুম ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা — তিতীর্ষা
    তাল জ্ঞান নেই যার — তালকানা তির নিক্ষেপ করে যে — তিরন্দাজ
    তির নিক্ষেপ করে যে — তিরন্দাজ তালু থেকে উচ্চারিত — তালব্য
    তার মতাে — তাদৃশ তােমার মতো — দৃশ
    তন্তু থেকে জাত — তন্তুজ তিন ভাগের এক ভাগ — তেহাই
    তনুর ভাব — তনিমা তবলায় নিপুণ — তবলচি
    তেজ আছে যার — তেজস্বী তিল তিল করে আহূত সৌন্দর্যে নির্মিত — প্রতিমাতিলােত্তমা
    তিন ফলের সমাহার — ত্রিফলা ত্রিকাল দর্শন করেন যিনি — ত্রিকালদর্শী
    ত্রাণ করেন যিনি — ত্রাতা তুমুল ঝগড়া — তুলকালাম
    তুলা থেকে তৈরি — তুলট তুষের আগুনের মতাে মর্মদাহী — তুষানল
    তেলে যা ভাজা হয় — তেলেভাজা তল স্পর্শ করা যায় না যার — অতলস্পর্শী
    থাবার আঘাত — থাপড় থেমে থেমে চলার যে ভঙ্গি — ঠমক
    ত্বরিত গমন করতে পারে যে — তুরগ (ঘােড়া) তৃণাচ্ছাদিত ভূমি — শাদ্বল

    দ, ধ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    দারুণ মানসিক দুঃখ — অন্তর্দাহ দুয়ের মধ্যে একটি — অন্যতর
    দার (স্ত্রী) পরিগ্রহ যে করে না — অকৃতদার দমন করা যায় না যাকে — অদম্য
    দ্বিতীয় সত্তা বা জোড়া নেই যার — অদ্বিতীয় দিবসের শেষ ভাগ — অপরাহু
    দ্বীপের সদৃশ — উপদ্বীপ দিনে একবার মাত্র আহার করে যে — একাহারী
    দান করা উচিত — দাতব্য ধর্মপুরুষ বা সন্ন্যাসীর পর্যটন — পরিব্রাজন
    দু’দিকে অপ যার — দ্বীপ দ্বীপে জন্ম হয়েছে যার — দ্বৈপায়ন
    দণ্ড দিবার যােগ্য — দণ্ডনীয়, দণ্ডাৰ্হ দর্প নাশ করে যে দর্পনাশী — দর্পহারী
    দু’বার জন্ম হয় যার — দ্বিজ দ্বারে থাকে যে ঘরী — দারােয়ান
    দু’রথীর যুদ্ধ — দ্বৈরথ দেশের প্রতি প্রেম আছে যার — দেশপ্রেমিক
    দোহনের যােগ্য — দোহনীয় দুধ ফেনার মতাে শুত্র — দুগ্ধফেননি
    দু’তারযুক্ত বাদ্যযন্ত্র — দোতারা দ্রব হয়েছে যা — দ্রবীভূত
    দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান — দোয়াব দু’ভাষা জানে যে — দোভাষী
    দু’বার বলা — দ্বিরুক্তি দূরকে দেখার যন্ত্র — দূরবীক্ষণ/দূরবিন
    দু’বার ফল ধরে যে গাছে — দোলা দু’হাতে সমান কাজ করতে পারে যে — সব্যসাচী
    দৃষ্টির অগােচরে — অদৃশ্য দাড়ি জন্মে নি যার — অজাতশশু
    দামি জিনিসপত্র রাখা হয় যেখানে — তােশাখানা ধার করতে ইচ্ছুক — ঋণপ্রার্থী
    ধ্যান করেন যিনি — ধ্যানী ধী আছে যার— ধীমান্
    ধোয়ার ন্যায় বর্ণযুক্ত — ধোঁয়াটে ধুলায় পরিণত — ধূলিসাৎ
    ধ্যানে যিনি মগ্ন — ধ্যানস্থ ধীরে যে গমন করে — ধীরগামী, মন্দগামী
    ধারা ধরে যা চলে — ধারাবাহিক ধুলার মতাে যার রং — পাংশুল
    ধী-শক্তির অধিকারী — ধীমান্ ধনের দেবতা — কুবের
    দিনের পূর্ব ভাগ — পূর্বাহ্ন ধার করতে ইচ্ছুক — ঋণপ্রার্থী
    দিনের মধ্য ভাগ — মধ্যাহ্ন দমন করা যায় না যাকে — অদম্য
    দিনের অপর ভাগ — অপরাহ দমন করা কষ্টকর যাকে — দুর্দমনীয়
    দিনের সায় (অবসান) ভাগ — সায়াহ্ন দেখে চোখের আশা মেটে না যাকে — অতৃপ্তদৃশ্য
    দুটি মাত্র দাঁত যার — দ্বিরদ (হাতি) ধুর (তীক্ষ বুদ্ধি) ধারণ করে যে — ধুরন্ধর
    দ্বারে থাকে যে — দৌবারিক ধন্যবাদের যােগ্য — ধন্যবাদাহঁ
    দুয়ের মধ্যে একটি — অন্যতর ধর্মীয় কাজ করার জন্য তীর্থভ্রমণ — প্রব্রজ্যা
    ধনুকের ধ্বনি — টঙ্কার

    ন বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    নদী মেখলা যে দেশের — নদীমেখলা নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার — নশ্বর
    নিকৃষ্ট ব্যক্তি — দুর্জন নিজেকে সামলাতে পারে না যে — অসংযমী
    নিবারণ করা যায় না — অনিবার্য নিন্দার যােগ্য নয় যা — অনিন্দনীয়, অনিন্দ্য
    নেই শােক যার — অশােক নিজেকে হত্যা করে যে — আত্মঘাতী
    নির্ভুল মুনিবাক্য — আন্তবাক্য নাড়িজ্ঞান নেই যার — আনাড়ি
    নগরের উপকণ্ঠ — উপনগর নীলবর্ণ বানর — উলুক
    নির্ধারিত সময় — ওয়াদা নাটকের পাত্রপাত্রী — কুশীলব
    নদীতে পার হবার স্থান — খেয়াঘাট নূপুরের ধ্বনি — নিকৃণ
    নৌ চলাচলের যােগ্য — নাব্য নৌকা চালায় যে — নাবিক
    নিজেকে পণ্ডিত মনে করে যে — পণ্ডিতমন্য নিজেকে হীন মনে করা — হীনমন্যতা
    নিবারণ করা যায় না যা — দুর্নিবার নিষ্কাশিত সারবস্তু — নির্যাস
    নিন্দা করার ইচ্ছা — জুগুপ্সা ন্যায় শাস্ত্র জানেন যিনি — নৈয়ায়িক
    নীল বর্ণ পদ্ম — ইন্দির নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে (গ্রীষ্মকাল) — নিদাঘ
    নারীর কটিভূষণ — শনা নারীর কোমরবেষ্টনিভুষণ — মেখলা
    নূপুরের ধ্বনি — নিকুণ

    প, ফ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    পথিকদের আহারাদি করার গৃহ — পান্থশালা পূর্বকাল সম্পর্কিত — প্রাক্তন
    পূর্বে ছিল, এখন নেই — ভূতপূর্ব প্রায় মৃত — মৃতকল্প
    পরিমিত কথা বলে যে — মিতভাষী, মিতবাক পরিমিত ব্যয় করে যে — মিতব্যয়ী
    পরিব্রাজকের ভিক্ষা — মাধুকরী পূর্ণিমার চাঁদ — রাকা
    পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে — দেদীপ্যমান পরিমিত আহার করে যে — মিতাহারী
    পরিণাম চিন্তা করে যে কাজ করে — পরিণামদর্শী পান করার যােগ্য — পেয়
    পায়ে হেঁটে যে গমন করে না — পন্নগ পণ্ডিত হয়েও যে মূর্খ — পন্ডিতমূখ
    পায়ে হাঁটা — পদব্রজ পঙ্কে জন্মে যা — পভকজ
    পা মােছর জন্য আস্তরণ — পাপােশ পাঁচ মিশালি মসলা — পাঁচফোড়ন।
    পড়া হয়েছে যা — পঠিত পড়ার উপযুক্ত — পঠিতব্য
    পুরাকালের বিষয় যিনি জানেন — পুরাতাত্ত্বিক পরের ভালাে যে দেখতে পারে না — পরশ্রীকাতর
    পশুহত্যা করে যে — কসাই পরস্পরে আলিঙ্গন — কোলাকুলি।
    পেতে ইচ্ছা — ঈন্দ পা থেকে মাথা পর্যন্ত — আপাদমস্তক
    পঙক্তিতে বসার অযােগ্য — অপাঙক্তেয় পশ্চাতে গমন করে যে — অনুগামী
    পরাজিত করা যায় না — অপরাজেয় পান করার যােগ্য নয় — অপেয়
    পুত্র নেই যার — অপুত্রক পরে জন্মেছে যে — অনুজ
    প্রথমে জন্মেছে যে — অগ্রজ পূর্বে যা ঘটে নি — অভূতপূর্ব
    পূর্বে যা চিন্তা করা হয় নি — অচিন্তিতপূর্ব পূর্বে যা দেখা যায় নি — অদৃষ্টপূর্ব
    পূর্বে যা শােনা যায় নি — অশ্রুতপূর্ব পণ্ডিত হয়েও যে মূর্খ — পন্ডিতমূখ
    পূর্বে যা দেখা যায় নি — অদৃষ্টপূর্ব পূর্বে যা চিন্তা করা হয় নি — অচিন্তিতপূর্ব
    পূর্বে যা ঘটে নি — অভূতপূর্ব প্রথমে জন্মেছে যে — অগ্রজ
    পদ্মের ন্যায় অক্ষি বা চোখ — পুণ্ডরীকাক্ষ পঁচিশ বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব — রজত জয়ন্তী
    পরকে (কোকিল শাবক) পালন করে যে — পরভৃৎ (কাক) পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব — সুবর্ণ জয়ন্তী
    পরের (কাকের) দ্বারা প্রতিপালিত যে — পরভৃত (কোকিল) পুত্র নেই যার — অপুত্রক
    পান করার যােগ্য নয় — অপেয় পরাজিত করা যায় না — অপরাজেয়
    পশ্চাতে গমন করে যে — অনুগামী পাখির কলতান — কূজন, কাকলি
    পরিণাম চিন্তা করে যে কাজ করে — পরিণামদর্শী পায়ে হেঁটে যে গমন করে না — পন্নগ
    প্রবেশ করার ইচ্ছা — বিবক্ষা পান করার ইচ্ছা — পিপাসা
    প্রতিবিধান করার ইচ্ছা — প্রতিবিধিৎসা প্রিয় কাজ করার ইচ্ছা — প্রিয়চিকীর্ষা
    পরে জন্মেছে যে — অনুজ প্রায় প্রভাত হয়েছে এমন — প্রভাতকল্প
    প্রশংসার যােগ্য — প্রশংসা পূর্ব ও পরের অবস্থা — পৌর্বাপর্য
    পুরুষের কর্ণভষণ — বীরৰৌলি পুরুষের কটিবন্ধ — সরাসন
    পৌষ মাসে উৎপন্ন ফসল — পৌষালি পত্নী বর্তমান থাকা সত্ত্বেও পুনর্বিবাহ — অধিবেদন
    পত্নীর সাথে বর্তমান — সপত্নীক পা ধােয়ার জল — পাদ্য
    পদ্মের ডাটা বা নাল — মৃণাল পদ্মের ঝাড় বা মৃণালসমূহ — মৃণালিনী
    পুণ্যকর্ম সম্পাদনের জন্য শুভ দিন — পূণ্যাহ ফল পাকলে যে গাছ মরে যায় — ওষধি
    ফুল হতে জাত — ফুলেল ফুটছে এমন — ফুটন্ত
    ফল প্রসব করে যা — ফলপ্রসূ ফুল দিয়ে তৈরি গয়না — পুষ্পভরণ
    ফুল সাজিয়ে রাখা হয় যে পাত্রে — ফুলদানি ফিকা কমলা রং — বাসন্তী
    ফুলের বাইরের আবরণ — বৃতি ফুরায় না যা — অফুরন্ত
    ফুলের মতাে অগ্নিকণা — স্ফুলিঙ্গ ফল পাকলে যে গাছ মরে যায় — ওষধি
    প্রাণ ওষ্ঠাগত হবার মতাে অবস্থা — লবেজান ফেলে দেবার যােগ্য — ফেনা

    ব, ভ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    বেশি কথা বলে যে — বাচাল বিবাদ করে যে — বিবদমান
    বিদ্যা আছে যার — বিদ্বান বিজ্ঞান জানেন যিনি — বৈজ্ঞানিক, বিজ্ঞানী
    বাচতে ইচ্ছা — জিজীবিষা বীজ বপনের উপযুক্ত সময় — জো
    বয়সে সবচেয়ে ছােট যে — কনিষ্ঠ বাতাসে উবে যায় এমন — উদ্বায়ী
    বপন করা হয়েছে — উপ্ত বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে যে — উদ্বাস্তু
    বলা হয়েছে যা — উক্ত। বুকে হেঁটে গমন করে যে — উরগ
    বাল্যে প্রৌঢ় তুল্য আচরণকারী চড়ে — পাকা বসে আছে যে — আসীন, উপবিষ্ট
    বােধ নেই যার — অবােধ, নির্বোধ বৃহৎ অরণ্য — অরণ্যানী
    বর্ণনা করা যায় না যা — অবর্ণনীয় বহুর মধ্যে একটি — অন্যতম
    বিশ্বজনের হিতকর — বিশ্বজনীন বিদেশে থাকে যে — প্রবাসী
    বিসংবাদ নেই যাতে — অবিসংবাদিত বেতন নেওয়া হয় না যাতে — অবৈতনিক।
    বসন আগলা যার — অসংবৃত বলা উচিত নয় যা — অকথ্য/ অবক্তব্য / অবাচ্য
    বলা হতে যাচ্ছে বা হবে — বক্ষ্যমাণ ব্যাকরণ জানেন যিনি — বৈয়াকরণ
    বােনের বর — বােনাই বাক্যের দ্বারা কৃতকলহ — বচসা
    বিহায়সে (আকাশে) গমন করে যে — বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম বৃদ্ধি পাওয়া যার স্বভাব — বর্ধিষ্ণু
    বাড়ছে যা — বাড়ন্ত, বর্ধমান বহু দেখেছে যে — ভূয়ােদশী, বহুদর্শী
    বিধিকে অতিক্রম না করে — যথাবিধি বেচে থাকার ইচ্ছা — জিজীবিষা
    ভগীরথের আনীত নদী — ভাগীরথী ভ্রমণ করা স্বভাব যার — ভ্রমর
    ভমে পরিণত হয়েছে যা — ভস্মীভূত ভােজন করতে যে চায় — বুভুক্ষু
    ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কাজ করে যে — দূরদর্শী ভ্রমরের শব্দ — গুঞ্জন
    ভিতর থেকে গােপনে ক্ষতিসাধন — অন্তর্ঘাত ভূ-কেন্দ্রের মুখে জড়পদার্থের আকর্ষণ — অভিকর্ষ
    ভাবা যায় না যা — অভাবনীয় ভুজের সাহায্যে (এঁকে বেঁকে) চলে যে — ভুজগ/ভুজঙ্গ (সর্প)
    বিজয় লাভের ইচ্ছা — বিজিগীষা বাস করার ইচ্ছা — বিবৎসা
    বীরের গর্জন — হুঙ্কার ভ্রমরের শব্দ — গুঞ্জন
    বিশেষ খ্যাতি আছে যার — বিখ্যাত ভ্রমরের শব্দ — গুঞ্জন
    বাতাসে (ক-তে) চরে যে — কপােত বহুর মধ্যে একটি — অন্যতম
    বন্দুক বা তার ছোড়ার অনুশীলনের জন্য স্থাপিত লক্ষ্য — চাঁদমারি ভুলহীন ঋষি বাক্য — আপ্তবাক্য
    বাদ্যযন্ত্রের ধ্বনি — ঝংকার ী বড় ভাই থাকতে ছােট ভাইয়ের বিয়ে — পরিবেদন
    বিহঙ্গের ধ্বনি — কাকলি বহু গৃহ থেকে ভিক্ষা সংগ্রহ করা — মাধুকরী/মধুকর

    ম বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    মধুর গন্ধযুক্ত — সুগন্ধি মৃৎ অঙ্গ যার — মৃদঙ্গ
    মুগ্ধ করে যে নারী — মােহিনী মাসের শেষ দিন — সংক্রান্তি
    ময়ূরের ডাক — কেকা মৎস্যের ন্যায় অক্ষি যার (স্ত্রী) — মিনাক্ষী
    মমতা নেই যার — নির্মম মন হরণ করে যা — মনােহর
    মর্ম স্পর্শ করে যা — মর্মস্পর্শী মর্ম স্পর্শ করে যা — মর্মস্পর্শী
    মধু পান করে যে — মধুপ ময়ূরের কণ্ঠের রং যার — ময়ূরকণ্ঠী
    মুক্তি পেতে ইচ্ছুক — মুমুক্ষু মর্মে বেদনা দেয় যা — মর্মান্তিক, মর্মন্তুদ
    মরতে বসেছে যে — মুমূর্ষ ময়ূরের পুচ্ছ বিস্তার — পেখম
    মরণের জন্য অনশন — প্রায়ােপবেশন মেঘের ধ্বনি — জীমূতমা
    মেঘের মতাে শ্যাম — ঘনশ্যাম মাথার খুলি — করােটি
    মাটি ভেদ করে যে ওঠে — উদ্ভিদ মনােগত ইচ্ছা — ঈপ্সিত
    মরে না যে — অমর মর্মকে ভেদকারী — মর্মভেদী
    মায়া (ছল) জানে না যে — অমায়িক মাসের শেষ দিন — সংক্রান্তি
    মান্যব্যক্তিকে অভ্যর্থনার জন্য কিছুদূর এগিয়ে যাওয়া — প্রত্যুৎগমন মান্যব্যক্তি বিদায়কালে কিছুদূর এগিয়ে দেওয়া — অনুজন
    মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছে এমন — উপাবৃত্ত মৃত্তিকার দ্বারা নির্মিত — মৃন্ময়
    মিলনের ইচ্ছায় নায়ক বা নায়িকার সঙ্কেত স্থানে গমন — অভিসার মাছিও প্রবেশ করে না যেখানে — নির্মক্ষিক

    য বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    যে নারীর একটি মাত্র সন্তান — কাকবন্ধ্যা যে বালিতে পা দিলে ডুবে যেতে হয় — চোরাবালি
    যে গাছের বিস্তর ছায়া হয় — হায়াতরু যে বেঁচে থেকেও মৃত — বৎজীবন্ত
    যিনি ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমানের বৃত্তান্ত জানেন — ত্রিকালজ্ঞ। যা বহুকষ্টে (দুঃখের সঙ্গে) লাভ করা যায় — দুর্লভ
    যা সহজে লঙ্ন করা যায় না — দুল যাকে সহজে জয় করা যায় না — দুর্জয়
    যা সহজে পাওয়া যায়না — দুষ্প্রাপ্য যা সহজে পুড়ানাে যায় — দাহ্য
    যা সহজে মরে না — দুর্মর যা সহজে দমন করা যায় না — দুর্দম
    যা সহ্য করা যায় না — দুর্বিষহ যাকে শাসন করা দুঃসাধ্য — দুঃশাসন
    যা অধিক উষ্ণ বা অধিক শীতল নয় — নাতিশীতােষ্ণ যা গমন করে না — নগ
    যে নারীর নতুন বিয়ে হয়েছে — নবােঢ়া যে নারী প্রিয় বাক্য বলে — প্রিয়ংবদা
    যা দৃষ্টিগােচর হয়েছে — প্রত্যক্ষীভূত যা লাফিয়ে চলে — প্রবগ
    যার কীর্তি শ্রবণে পুণ্য জন্মে — পুণ্যশ্লোক যার কীর্তি শ্রবণে পুণ্য জন্মে — পুণ্যশ্লোক
    যার স্ত্রী মারা গেছে — বিপত্নীক যার অনুরাগ দূর হয়েছে — বীতরাগ
    যে নারীর স্বামী মৃত — বিধবা যা আছে — বিদ্যমান।
    যা কষ্টে জয় করা যায় — দুর্জয় যা কষ্টে লাভ করা যায় — দুর্লভ
    বীণার ধ্বনি — ঝঙ্কার বনের অগ্নি — দাবানল, দাবাগ্নি
    যে হিসাব করে ব্যয় করে না — অমিতব্যয়ী যে ভূমি উর্বর নয় — অনুর্বর
    যে পুরুষ বিয়ে করে নি — অকৃতদার যার তল স্পর্শ করা যায় না — অতলস্পর্শ
    বিদেশে থাকে যে — প্রবাসী বিদেশে থাকে যে — প্রবাসী
    যা নিবারণ করা কষ্টকর — দুর্নিবার যা পূর্বে ছিল এখন নেই — ভূতপূর্ব
    যা বালকের মধ্যেই সুলত — বালকসুলভ যা বার বার দুলছে — দোদুল্যমান
    যা দীপ্তি পাচ্ছে — দেদীপ্যমান যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না এমন — অনন্যসাধারণ
    যা পূর্বে দেখা যায় নি এমন — অদৃষ্টপূর্ব যা অধ্যয়ন করা হয়েছে — অধীত
    যা জলে চরে — জলচর যা স্থলে চরে — স্থলচর
    যা জলে ও স্থলে চরে — উভচর যা বলা হয় নি — অনুক্ত
    যা কখনাে নষ্ট হয় না — অবিনশ্বর যা মর্ম স্পর্শ করে — মর্মস্পশী
    যা বলার যােগ্য নয় — অকথ্য যা অতি দীর্ঘ নয় — নাতিদীর্ঘ
    যা চিন্তা করা যায় না — অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু — বন্ধুর
    যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয় — ব্যয়বহুল যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয় — নাতিশীতােষ্ণ
    যা আঘাত পায় নি — অনাহত যা উদিত হচ্ছে — উদীয়মান
    যার অন্য উপায় নেই — অনন্যোপায় যার কোনাে উপায় নেই — নিরুপায়
    যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে — বর্ধিষ্ণু যা পূর্বে শােনা যায় নি — অশ্রুতপূর্ব
    যার আকার কুৎসিৎ — কদাকার যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে — প্রত্যুৎপন্নমতি
    যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে — সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব যার কোনাে কিছু থেকেই ভয় নেই — অকুতােভয়
    যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না — বর্ণচোরা যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না — অজ্ঞাতকুলশীল
    যার বিশেষ খ্যাতি আছে — বিখ্যাত যে শুনেই মনে রাখতে পারে — শুতিধর
    যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে — উদ্বাস্তু যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয় — স্বয়ংবরা
    যে রােগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে — হাতুড়ে যে নারীর সন্তান বাঁচে না — মৃতবৎসা
    যে গাছ কোনাে কাজে লাগে না — আগাছা যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাচে — পরগাছা
    যে পুরুষ বিয়ে করেছে — কৃতদার যে মেয়ের বিয়ে হয় নি — অনূঢ়া
    যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না — অপরিণামদর্শী যা ভাবা হয় নি — অভাবিত
    যে বিষয়ে কোনাে বিতর্ক (বা বিসংবাদ) নেই — অবিসংবাদী যে বন হিস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ – শ্বাপদসংকুল
    যে নারী সকল অত্যাচারই সয়ে যায় — সর্বংসহা যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে — বীরপ্রসূ
    যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে — কাকবন্ধ্যা যে রব শুনে এসেছে — রবাহূত।
    যে বেশি কথা বলে — বাচাল যে বা যা হবে — ভাবী, ভবিষ্যৎ
    যা সহজেই ভেঙে যায় — ভঙ্গুর, ঠুনকো যার মা বাবা নেই — অনাথ
    যার যশ আছে — যশস্বী যিনি যুদ্ধে স্থির থাকেন — যুধিষ্ঠির
    যে স্ত্রীর বশীভূত — ত্রৈণ যে সব হারিয়েছে — সর্বহারা।
    যে সমস্তই সহ্য করে — সর্বংসহ যে নারীর স্বামী বর্তমান — সধবা।
    যিনি বিদ্যালাভ করেছেন — কৃতবিদ্য যা হৃদয় বিদীর্ণ করে — হৃদয়বিদারক
    যা হৃদয়ে গমন করে — হৃদয়ঙ্গম যার সর্বস্ব চুরি গেছে — হৃতসর্বস্ব
    যা অষ্টপ্রহর পরার যােগ্য — আটপৌরে যেখানে মৃত জন্তু ফেলা হয় — ভাগাড়
    যে সব জানে — সর্বজ্ঞ যে সহ্য করতে পারে — সহিষ্ণু
    যুদ্ধে পরাস্ত করা যায় না যে ভূমিকে — অযযাধ্যা যা লঙ্ঘন করা যায় না — অল, অলঙ ঘনীয়
    যা ভেদ করে উঠেছে — উদ্ভিন্ন যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর — সুদর্শন।
    যিনি বক্তৃতা দানে পটু — বাগী যে বুকে হেঁটে চলে — সরীসৃপ
    যা বিনষ্ট হয় না — অবিনশ্বর যে সম্পত্তি স্থানান্তরিত করা যায় — অস্থাবর
    যে মেয়ের বিয়ে হয়নি — অনূঢ়া, অবিবাহিতা যা গলে যায় না — অদ্রব
    যা ঘটবেই — ভবিতব্য যার পর আর কিছু নেই — যৎপরােনাতি
    যুদ্ধের জন্য ইচ্ছুক — যুযুৎসু যুবতী জায়া যার — যুবজানি
    যে সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায় না — স্থাবর যার সর্বস্ব খােয়া গেছে — সর্বান্ত
    যে রূপ ইচ্ছা — যদৃচ্ছা দেখবার ইচ্ছা — দিদৃক্ষা
    যে নারী অতি উজ্জ্বল ও ফর্সা — মহাশ্বেতা যে নারী আনন্দ দান করে — বিনােদিনী
    যে নারী কহলপ্রিয় — খাণ্ডানী যে নারী (বিবাহিত বা অবিবাহিত) চিরকাল পিতৃগৃহবাসিনী — চিরন্টী
    যে নারীর সহবাসে মৃত্যু হয় — বিষকন্যকা যে নারী বীর — বীরাঙ্গনা
    যে নারী বার (সমূহ) গামিনী — বারাঙ্গনা যে নারী শিশুসন্তানসহ বিধবা — বালপুত্রিকা
    যে নারী অঘটন ঘটাতে পারদর্শী — অঘটনঘটনপটিয়সী যে নারী সূর্যকে দেখে না (অন্তঃপুরে থাকে) — অসূর্যম্পশ্যা
    যে নারী পূর্বে অন্যের স্ত্রী ছিল — অন্যপূর্বা যে নারী চিত্রে অর্পিতা বা নিবদ্ধা — চিত্রার্পিতা
    যে নারী (বা গাভী) দুগ্ধবতী — পয়স্বিনী যে নারীর অসয়া (হিংসা) নেই — অনসূয়া
    যে নারী দেহ সৌষ্ঠব সম্পন্না — অঙ্গনা যে নারী সুন্দরী — রামা
    যে নারী সাগরে বিচরণ করে — সাগরিকা যে নারী অপরের দ্বারা প্রতিপালিতা — পরভৃতা বা পরভৃতিকা
    যে নারীর স্বামী ও পুত্র জীবিত — বীরা বা পুরন্ধ্রী যে নারীর স্বামী ও পুত্র মৃত — অবীরা
    যে নারীর (মেয়ের বিয়ে হয় নি — কুমারী যে নারীর বিয়ে হয়েছে — ঊঢ়া
    যে নারীর নখ শূপের (কুলা) মত — শূর্পণখা যে নারীর দুটি মাত্র পুত্র — দ্বিপুত্রিকা
    যে নারীর স্বামী (ভর্তা) বিদেশে থাকে — প্রােষিতভর্তৃকা যে নারীর পঞ্চ স্বামী — পঞ্চভর্তকা
    যে নারীর সন্তান বাঁচে না — মৃতবৎসা যে নারীর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে — অধিবিন্না
    যে নারীর হাসি সুন্দর — সুস্মিতা যে মেয়ের বয়স দশ বৎসর — কন্যকা
    যে নারীর হাসি সুন্দর — সুস্মিতা কুমারীর পুত্র — কানীন
    নারীর লীলাময়ী নৃত্য — লাস্য উত্তম বস্ত্রালঙ্কারে সুসজ্জিত নটীগণের নৃত্য — যৌবত
    অবিবাহিতা জ্যেষ্ঠা থাকার পরও যে কনিষ্ঠার বিয়ে হয় — অগ্রেদিধিষু পুরুষের উদ্দাম নৃত্য — তাণ্ডব
    যে (পুরুষ) দ্বার পরিগ্রহ করে নি — অকৃতদার যে (পুরুষ) দ্বার পরিগ্রহ করেছে — কৃতদার
    যে (পুরুষ) প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকতে দ্বিতীয় দার পরিগ্রহ করেছে — অধিবেত্তা (যে পুরুষ) পত্নী সহ বর্তমান — সপত্নীক
    যে পুরুষের স্ত্রী বিদেশে থাকে — প্রােষিতপত্নীক বা প্রােষিতভার্য যে গাভী প্রসবও করে না, দুধও দেয় না — গােবশা
    যে মেঘে প্রচুর বৃষ্টি হয় — সংবর্ত যার ঈহা (চেষ্টা) নেই — নিরীহ
    যার দাড়ি গোঁফ উঠে নি — অজাতশ্মশ্রু যার পুত্র নেই — অপুত্রক
    যার বরাহের (শূকর) মতাে খুর — বরাখুরে যার বেশবাস সংবৃত নয় — অসংবৃত
    যার দুটি মাত্র দাত — দ্বিরদ (হাতি) যার সব কিছু হারিয়েছে — হৃতসর্বস্ব
    যার দুবার জন্ম হয় — দ্বিজ যার দুই দিক বা চার দিকে জল — দ্বীপ
    যার শুভ ক্ষণে জন্ম — ক্ষণজন্মা যার চারদিকে স্থল — হ্রদ
    যার পূর্বজন্মের কথা স্মরণ আছে — জাতিস্মর যার বংশ পরিচয় বা স্বভাব কেউই জানে না — অজ্ঞাতকুলশীল
    যার কোনাে তিথি নেই — অতিথি যার অর্থ নেই — অর্থহীন
    যিনি অতিশয় হিসাবি — পাটোয়ারি যে পরের গুণেও দোষ ধরে — অসূয়ক
    যে অগ্র-পশ্চাৎ চিন্তা না-করে কাজ করে — অবিমৃষ্যকারী যে সমাজের (বর্ণের) অন্তদেশে জন্মে — অন্ত্যজ
    যে-শিশু আটমাসে জন্মগ্রহণ করেছে — আটাসে যে আপনাকে হত্যা করে — আত্মঘাতী
    যে আপনাকে হত্যা করে — আত্মঘাতী যে আকৃষ্ট হচ্ছে — কৃষ্যমাণ
    যে অপরের লেখা চুরি করে নিজনামে চালায় — কুম্ভীলক যে দিন তিন তিথির মিলন ঘটে — ত্র্যহস্পর্শ
    যে তীর নিক্ষেপে পটু — তীরন্দাজ যে বিহায়সে (আকাশ) বিচরণ করে — বিহগ/ বিহঙ্গ
    যে আপনাকে কৃতার্থ মনে করে — কৃতার্থম্মন্য যে অন্য দিকে মন দেয় না — অনন্যমনা
    যে বিদ্যা লাভ করেছে — কৃতবিদ্য যে গমন করে না — নগ (পাহাড়)
    যে সন্তান পিতার মৃত্যুর পর জন্মে — মরণােত্তরজাতক যে রােগ নির্ণয় করতে হাতড়িয়ে ক্লান্ত — হাতুড়ে
    যে ক্রমাগত রােদন করছে — রােরুদ্যমান যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ — শ্বাপদসংকুল
    যে সর্বত্র গমন করে — সর্বগ যে গৃহের বাইরে রাত্রিযাপন করতে ভালােবাসে — বারমুখাে
    যে জমিতে ফসল জন্মায় না — ঊষর যে জমিতে দুবার ফসল হয় — দো-ফসলি
    যেখানে মৃতজম্ভ ফেলা হয় — ভাগাড় / উপশল্য যে আলােতে কুমুদ ফোটে — কৌমুদী (জ্যোৎস্না)
    যে বিষয়ে কোনাে বিতর্ক নেই — অবিসংবাদী যে গাজায় নেশা করে — গেঁজেল
    যা অস্ত যাচ্ছে — অস্তায়মান যা বচন / বাক্যে প্রকাশযােগ্য নয় — অনির্বচনীয়
    যা পূর্বে দেখা যায় নি — অদৃষ্টপূর্ব যা অপনয়ন (দূর) করা যায় না — অনপনেয়।
    যা পূর্বে ছিল এখন নেই — ভূতপূর্ব যা অপনয়ন (দূর) করা কষ্টকর — দূরপনেয়
    যা পূর্বে কখনাে হয় নি — অভূতপূর্ব যা পূর্বে শােনা যায় নি — অশ্রুতপূর্ব
    যা প্রতিরােধ করা যায় না — অপ্রতিরােধ্য যা পূর্বে চিন্তা করা যায় নি — অচিন্তিতপূর্ব
    যা উচ্চারণ করা যায় না — অনুচ্চার্য যা অনুভব করা হচ্ছে — অনুভূয়মান
    যা উচ্চারণ করা কঠিন — দুরুচ্চার্য যা আগুনে পােড়ে না — অগ্নিসহ
    যা ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে — অপসৃয়মাণ যা বহন করা হচ্ছে — নীয়মান
    যা বলা হচ্ছে — বক্ষ্যমাণ যা উপলব্ধি করা যাচ্ছে — উপলভ্যমান
    যা ক্রয় করার যােগ্য — ক্রেয় যা জল দেয় — জলদ (মেঘ)
    যা বিক্রয় করার যােগ্য — বিক্রেয় যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে — বর্ধিষ্ণু
    যা চুষে খাবার যােগ্য — চোষ্য যা ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে — ক্ষীয়মাণ
    যা চিবিয়ে খাবার যােগ্য — চৰ্য্য যা ক্রমশ বিস্তীর্ণ হচ্ছে — ক্রমবিস্তাৰ্যমান
    যা চেটে খাবার যােগ্য — লেহ্য যা মুছে ফেলা যায় না — দুর্মোচ্য
    যা পান করার যােগ্য — পেয় যা পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে — দেদীপ্যমান
    যা লাফিয়ে লাফিয়ে চলে — পুবগ (ব্যাঙ/বানর) যা পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে — দেদীপ্যমান
    যা পা দিয়ে চলে না — পন্নগ (স) যা শল্য-ব্যথা দূরীকৃত করে — বিশল্যকরণী
    যা প্রমাণ করা যায় না — অপ্রমেয় যা মাটি ভেদ করে ওঠে — উদ্ভিদ
    যা আঘাত পায় নি — অনাহত যা কষ্টে জয় করা যায় — দুর্জয়
    যা আহুত (ডাকা) হয় নি — অনাহুত যা কষ্টে লাভ করা যায় — দুর্লভ
    যা বলা হয় নি — অনুক্ত যা অতি দীর্ঘ নয় — নাতিদীর্ঘ
    যা বলার যােগ্য নয় — অকথ্য যা ধারণ বা পােষণ করে — ধর্ম
    যা প্রকাশ করা হয় নি — অব্যক্ত যা নিজের দ্বারা অর্জিত = স্বােপার্জিত
    যুদ্ধে স্থির থাকেন যিনি — যুধিষ্ঠির যুদ্ধ থেকে যে বীর পালায় না — সংশপ্তক
    যে সব গাছ থেকে ঔষধ প্রস্তুত হয় — ঔষধি

    র, ল, শ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    রাত্রিকালীন যুদ্ধ — সৌপ্তিক রস আস্বাদন করা হয় যার দ্বারা — রসন
    রাত্রির প্রথম ভাগ — পূর্বরাত্র রােগ নির্ণয় করতে হাতড়ায় যে — হাতুড়ে
    রাত্রির মধ্যভাগ — মহানিশা রােদে শুকোনাে আম — আমশি
    রাত্রির শেষভাগ — পররাত্র রক্ত বর্ণ পদ্ম — কোকনদ
    রাত্রির তিনভাগ একত্রে — ত্রিযামা রাহ বা রাস্তায় ডাকাতি — রাহাজানি
    রেশমের দ্বারা তৈরি — রেশমি রন্ধনের যােগ্য — পাচ্য
    রঙ্গমঞ্চে দর্শনীয় চিত্রপট — দৃশ্যপট লবণ কম দেওয়া হয়েছে এমন — আলুনি
    লাফিয়ে চলে যে — পুবগ (ব্যাঙ/বানর) লয় প্রাপ্ত হয়েছে যা — লীন
    লােক গণনা — আদমশুমারি শ্বেত বর্ণ পদ্ম = পুণ্ডরীক
    লাভ করার ইচ্ছা — লিপ্সা রাজহাঁস (পক্ষীর) কর্কশ ডাক — ক্রেঙ্কার
    শৈশবকাল থেকে — আশৈশব শৃঙ্খলা মানে না যে — উদ্ধৃঙখল
    শক্তিকে অতিক্রম না করে — যথাশক্তি শত্রুকে বধ করেছেন যিনি — শত্রুঘ্ন
    শিক্ষা করছে যে — শিক্ষানবিশ শিক্ষা লাভ উদ্দেশ্য যার — শিক্ষার্থী
    শত্রুকে জয় করে যে — শত্রুজিৎ শত পাপড়িবিশিষ্ট — শতদল
    শাসন করা যায় যাকে — শিষ্য শত অব্দের সমাহার — শতাব্দী
    শুনা হচ্ছে যা — শয়মান শুভ ক্ষণে জন্ম যার — ক্ষণজন্ম
    শত্রুকে জয় করেন যিনি — পরঞ্জয় বা শত্রুজিৎ রমণের ইচ্ছা — রিরংসা
    শত্রুকে হত্যা করেন যিনি — শত্রুঘ্ন শ্ৰমহেতু সর্বাঙ্গ থেকে ঘাম নিঃসরণ — গলদঘর্ম
    শােনামাত্র যার মনে থাকে — শ্রুতিধর

    স, ষ, হ বর্ণ দিয়ে বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/এককথায় প্রকাশ

    সম্রাটদের বা রাজাদের বিবরণ — শাহনামা, রাজাবলি সমস্ত জীবন ব্যাপী — যাবজ্জীবন
    সহজে ভয় পায় যে — ভীরু, ভীতু সাপের খােলস — নির্মোক
    সংসারের প্রতি বিরাগ — নির্বেদ সমুদ্র থেকে হিমাচল পর্যন্ত — আসমুদ্রহিমাচল
    সন্ন্যাসীর আশ্রম — আখড়া সুদে টাকা খাটানাে — তেজারতি
    সঙ্গে সঙ্গে যার বুদ্ধি দেখা যায় — প্রত্যুৎপন্নমতি সৃষ্টি করার ইচ্ছা — সিসৃক্ষা
    ষােল বছর বয়স্কা — যােড়শী ষাট বছর পূর্ণ উপলক্ষে আনন্দ উৎসব — হীরকজয়ন্তী
    সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ — কল্লোল শুকনাে পাতার শব্দ — মর্মর
    সঙ্গে সঙ্গে যার বুদ্ধি দেখা যায় — প্রত্যুৎপন্নমতি স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান — সস্ত্রীক
    সেবা করার ইচ্ছা — শুশ্রুষা সভার সদস্য — সভ্য
    স্বাদ গ্রহণ করা হয়েছে এমন — স্বাদিত সকলের জন্য প্রযােজ্য — সার্বজনীন
    সিংহের নাদ (ডাক) — হুঙ্কার স্বামীর চিতায় পুড়ে মরা — সহমরণ
    সু (শােভন) হৃদয় যার — সুহৃদ সর্বজন সম্বন্ধীয় — সার্বজনীন
    সকলের জন্য প্রযােজ্য — সর্বজনীন সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা — প্রত্যুদগমন
    সর্বজনের হিতকর — সর্বজনীন সংসদের সদস্য — সাংসদ
    সমতার ভাব — সাম্য সাহিত্যে নিপুণ — সাহিত্যিক
    সাক্ষাৎ দ্রষ্টা — সাক্ষী সমুদ্রের ঢেউ — উর্মি
    সর্বত্র গমন করেন যিনি — সর্বগ হেমন্তকালে উৎপন্ন ফসল — হৈমন্তিক
    সূর্যোদয় থেকে পরবর্তী সূর্যোদয় পর্যন্ত — সাবন স্মরণের যােগ্য — স্মরণার্থ
    সূর্যোদয়ের অব্যবহিত পূর্ববর্তী দুই দণ্ডকাল — ব্রাহ্মমুহুর্ত সৈনিকদলের বিশ্রাম শিবির — স্কন্দাবার
    স্বমত অন্যের উপর চাপিয়ে দেয় যে — স্বৈরাচারী সরােবরে জন্মে যা — সরােজ
    সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস নাই যার — নাস্তিক স্তন্য পান করে যে — স্তন্যপায়ী
    সূর্যের ভ্রমণপথের অংশ বা পরিমাণ — অয়নাংশ স্বপ্নে (ঘুমে) শিশুর স্বগত হাসি-কান্না — দেয়ালা
    সব কিছু সহ্য করেন যিনি — সর্বংসহা সরােবরে জন্মে যা — সরােজ
    সদ্য দোহনকৃত উষ্ণ দুধ — ধারােষ্ণ স্বার্থের জন্য অন্যায় অর্থ প্রদান (ঘুষ) — উপদা
    হরিণের চামড়া — অজিন হত্যা করার ইচ্ছা — জিঘাংসা
    হত্যা করতে ইচ্ছুক যে — জিঘাংসু হঠাৎ থেমে যাওয়া — থমকান
    হাতির ডাক — বৃংহণ, বৃংহিত হনন করার ইচ্ছা — জিঘাংসা
    হেমন্তে জাত — হৈমন্তিক হস্তী রাখার স্থান — বারী, পিলখানা
    হরিণের চর্মের আসন — অজিনাসন হাতের দ্বিতীয় আঙুল — তর্জনী
    হাতের তৃতীয় আঙুল — মধ্যমা হিত করার ইচ্ছা — হিতৈষা
    হাতির ডাক — বৃংহণ বা বৃংহিত হিত করার ইচ্ছা — হিতৈষা
    হরেক রকম বলে যে — হরবােলা হিত ইচ্ছা করে যে — হিতৈষী
    হাতির শাবক (বাচ্চা) — করভ হন্ত অশ্ব, রথ, পদাতিকের সমাহার — চতুরঙ্গ
    হস্তী তাড়নের নিমিত্ত ব্যবহৃত লৌহদণ্ড — অঙ্কুশ

    নবম-দশম শ্রেণীর বই থেকে সংগ্রহীত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাক্য সংক্ষেপণের বা বাক্য সংকোচনের উদাহরণ

    অকালে পক্ক হয়েছে যা – অকালপক্ব।
    অক্ষির সমক্ষে বর্তমান – প্রত্যক্ষ।
    অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার – অনভিজ্ঞ।
    অহংকার নেই যার – নিরহংকার।
    অনেকের মধ্যে একজন – অন্যতম।
    অনুতে (বা পশ্চাতে) জন্মেছে যে – অনুজ।
    আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত – আদ্যন্ত, আদ্যোপান্ত ।
    আকাশে বেড়ায় যে – আকাশচারী, খেচর।
    আচারে নিষ্ঠা আছে যার – আচারনিষ্ঠ।
    আপনাকে কেন্দ্র করে যার চিন্তা – আত্মকেন্দ্রিক।
    আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে – পণ্ডিতম্মন্য।
    'আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার – আস্তিক।
    আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার – নাস্তিক।
    ইতিহাস রচনা করেন যিনি – ঐতিহাসিক।
    ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি – ইতিহাসবেত্তা।
    ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে – জিতেন্দ্রিয়।
    ঈষৎ আমিষ (আঁষ) গন্ধ যার – আঁষটে।
    উপকারীর উপকার যে স্বীকার করে – কৃতজ্ঞ।
    উপকারীর উপকার যে স্বীকার করে না – অকৃতজ্ঞ।
    উপকারীর অপকার করে যে – কৃতঘ্ন।
    একই মাতার উদরে জাত যে – সহােদর।
    এক থেকে শুরু করে ক্রমাগত – একাদিক্রমে।
    কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী – কর্মঠ
    কোনাে ভাবেই যা নিবারণ করা যায় না – অনিবার্য।
    চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত – চাক্ষুষ।
    জীবিত থেকেও যে মৃত – জীবন্ত।
    তল স্পর্শ করা যায় না যার – অতলস্পর্শী।
    দিনে যে একবার আহার করে – একাহারী।
    নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার – নশ্বর।
    “নদী মেখলা যে দেশের – নদীমেখলা।
    নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে – নাবিক।
    পা থেকে মাথা পর্যন্ত – আপাদমস্তক।
    ফল পাকলে যে গাছ মরে যায় – ওষধি।
    বিদেশে থাকে যে – প্রবাসী।
    বিশ্বজনের হিতকর – বিশ্বজনীন।
    মূতের মতাে অবস্থা যার – মুমূর্য।
    যা দমন করা যায় না – অদম্য।
    যা দমন করা কষ্টকর – দুর্দমনীয়।
    যা নিবারণ করা কষ্টকর – দুর্নিবার।
    যা পূর্বে ছিল এখন নেই – ভূতপূর্ব।
    যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে – প্রত্যুৎপন্নমতি।
    যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে – সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব।
    যার কোনাে কিছু থেকেই ভয় নেই – অকুতােভয়।
    যার আকার কুৎসিত – কদাকার।
    যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে – অযত্নলন্ধ।
    বা বার বার দুলছে – দোদুল্যমান।
    বা দীপ্তি পাচ্ছে – দেদীপ্যমান।
    মা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না এমন – অনন্যসাধারণ।
    যা পূর্বে দেখা যায়নি এমন – অদৃষ্টপূর্ব।
    যা কষ্টে জয় করা যায় – দুর্জয়।
    যা কষ্টে লাভ করা যায় – দুর্লভ।
    যা অধ্যয়ন করা হয়েছে – অধীত।
    যা জলে চরে – জলচর।
    যা থলে চরে – স্থলচর।
    যা জলে ও স্থলে চরে – উভচর।
    যা বলা হয়নি – অনুক্ত।
    যা কখনাে নষ্ট হয় না – অবিনশ্বর।
    যা মর্ম স্পর্শ করে – মর্মস্পর্শী।
    যা বলার যােগ্য নয় – অকথ্য।
    যা অতি দীর্ঘ নয় – নাতিদীর্ঘ
    যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না – অজ্ঞাতকুলশীল।
    যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না – বর্ণচোরা।
    যা চিন্তা করা যায় না – অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য।
    যা কোথাও উচু কোথাও নিচু – বধুর।
    যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয় – ব্যয়বহুল।
    যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয় – নাতিশীতােষ্ণ।
    যার বিশেষ খ্যাতি আছে – বিখ্যাত।
    যা আঘাত পায়নি – অনাহত।
    যা উদিত হচ্ছে – উদীয়মান।
    যার অন্য উপায় নেই – অনন্যোপায়।
    যার কোনাে উপায় নেই – নিরুপায় ।
    যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে – বর্ধিষ্ণু ।
    যা পূর্বে শােনা যায়নি – অশ্রুতপূর্ব।
    যে শুনেই মনে রাখতে পারে – শ্ৰতিধর।
    যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে – উদ্বাস্তু।
    "বে নারী নিজে বর বরণ করে নেয় – স্বয়ংবরা।
    যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না – বনস্পতি।
    যে রােগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে – হাতুড়ে।
    যে নারীর সন্তান বাঁচে না – মৃতবৎসা।
    যে গাছ কোনাে কাজে লাগে না – আগাছা।
    যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে – প্রগাছা।
    যে পুরুষ বিয়ে করেছে – কৃতদার।
    যে মেয়ের বিয়ে হয়নি – অনূঢ়া।
    যে ক্রমাগত রােদন করছে – রােরুদ্যমান।
    যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না – অপরিণামদর্শী।
    যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে – অবিমৃষ্যকারী।
    যে বিষয়ে কোনাে বিতর্ক (বা বিসংবাদ) নেই – অবিসংবাদিত।
    যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ – শ্বাপদসংকুল।
    যিনি বক্তৃতা দানে পটু – বাগী ।
    যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায় – সর্বংসহা।
    যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে – বীরপ্রসূ।
    যে নারীর কোনাে সন্তান হয় না – বন্ধ্যা।
    যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে – কাকবন্ধ্যা।
    যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর – সুদর্শন।
    যে রব শুনে এসেছে – রবাহূত।
    লাভ করার ইচ্ছা – লিপ্সা।
    শুভ ক্ষণে জন্ম যার – ক্ষণজন্মা।
    সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা – প্রত্যুৰ্গমন।
    সকলের জন্য প্রযােজ্য – সর্বজনীন।
    হনন করার ইচ্ছা – জিঘাংসা।

    বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণ/ এককথায় প্রকাশ : মডেল প্রশ্ন


    প্রশ্ন : উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে-এর সংক্ষিপ্ত রূপ কোনটি?
    উত্তর : কৃতজ্ঞ

    প্রশ্ন : নষ্ট হওয়া স্বভাব যার –এক কথায় কী হবে?
    উত্তর : নশ্বর

    প্রশ্ন : যা পূর্বে দেখা যায়নি এক কথায় কী হবে?
    উত্তর : অদৃষ্টপূর্ব

    প্রশ্ন : যা বলা হয়নি এক কথায় কী হবে?
    উত্তর : অনুক্ত

    প্রশ্ন : যার কোনাে উপায় নেই এক কথায় কী হবে?
    উত্তর : নিরুপায়

    প্রশ্ন : হনন করার ইচ্ছা এর বাক্য-সংকোচন কী হবে?
    উত্তর : জিঘাংসা

    প্রশ্ন : ব্যাঙের ছানা এর বাক্য-সংকোচন কী হবে?
    উত্তর : ব্যাঙাচি

    প্রশ্ন : বাঘের চর্ম এর বাক্য-সংকোচন কী হবে?
    উত্তর :কৃত্তি

    প্রশ্ন : লাভ করার ইচ্ছা এর বাক্য-সংকোচন কী হবে?
    উত্তর : লিপ্সা

    প্রশ্ন : যে বিষয়ে কোনাে বিতর্ক নেই এর বাক্য-সংকোচন কী হবে?
    উত্তর : অবিসংবাদিত

    প্রশ্ন : যা বলার যােগ্য নয় এর বাক্য-সংকোচন কী হবে?
    উত্তর : অকথ্য

    প্রশ্ন : যার স্বাভাবিক বর্ণ ধরা যায় না এর বাক্য-সংকোচন কী হবে?
    উত্তর : বর্ণচোরা

    প্রশ্ন : যার আকার কুৎসিত এর বাক্য-সংকোচন কী হবে?
    উত্তর : কদাকার

    প্রশ্ন : যে গাছ অন্য গাছের ওপর নির্ভর করে বাঁচে এর বাক্য-সংকোচন কী হবে?
    উত্তর : পরগাছা

    প্রশ্ন : যা আঘাত পায়নি এর বাক্য-সংকোচন কী হবে?
    উত্তর : অনাহত

    প্রশ্ন : যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে।
    উত্তর : উদ্বাস্তু