বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাট্যসাহিত্যে বেশ কয়েকটি নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। গীতিনাট্য,
কাব্যনাট্য, নৃত্যনাট্য, সাংকেতিক নাটক প্রভৃতি নাট্যশাখা তিনিই সংযােজন করেন।
মণিপুর রাজকন্যা
চিত্রাঙ্গদা ও অর্জুনের পৌরাণিক প্রণয়-কাহিনি অবলম্বনে চিত্রাঙ্গদা' (১২৯৯) নাটক রচিত।
রবীন্দ্রনাথ
ছিলেন প্রধানত কবি। তাই তার নাট্যরচনায় কবিসুলভ বৈশিষ্ট্যের অনুসারী তত্ত্ব স্থান পেয়েছে।
'চিত্রাঙ্গদা' নাটকটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত। নাটকটি মহাভারতের কাহিনি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং কাহিনির পরিকল্পনা সম্পূর্ণ অভিনব ।
মদনের বরে চিত্রাঙ্গদা এক বছরের জন্য অসামান্য রূপলাবণ্যের অধিকারী
হন। অর্জুন সেই রূপসী চিত্রাঙ্গদার প্রতি আকৃষ্ট হন। শেষ পর্যন্ত অর্জুন চিত্রাঙ্গদার যথার্থ পরিচয় লাভ
করেন। এই নাটকে নারীর মর্যাদা ও আত্মসম্মান প্রধান হয়ে উঠেছে।
১২৯৯ সনে রচিত এ নাটকের
কাহিনি অবলম্বনে পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ‘চিত্রাঙ্গদা' (১৩৪৩) নৃত্যনাট্য রচনা করেন। চিত্রাঙ্গদায় নাম-
চরিত্রের মাধ্যমে নারীর আত্মজাগরণের যে প্রকাশ ঘটেছে তা আধুনিক নারীবাদীদের কথিত তাত্ত্বিকতার
চেয়েও ব্যাপক। উভয় ক্ষেত্রে নারীর আত্মসম্মান ও বীরত্ব উভয়ই গুরুত্ব পেয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিভিন্ন ধারার প্রবর্তন করে বাংলা নাট্যসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।
চিত্রাঙ্গদা: মডেল প্রশ্ন
Be Connected with us: Facebook Page Or Join to Our Facebook Goup